নিজস্ব প্রতিবেদক:যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনে নৌকা হেরেছে দলীয় কিছু মোনাফেক ও বেঈমানের কারণে। যারা দলের লোক হয়েও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে গোপনে অন্য মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন, তারা ক্ষমার অযোগ্য। তারা নৌকার সঙ্গে বেঈমানী করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। যারা নৌকার সঙ্গে বেঈমানী করেছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য মোনাফেক ও মীরজাফরদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। নতুবা আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে এর প্রভাব পড়তে পারে। তাই আগামী নিবার্চনের আগে আওয়ামীলীগকে পুর্ণগঠন করে প্রস্তুত করা হবে।
সোমবার দুপুরে গাছা থানা আ.লীগের উদ্যোগে নগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় মোল্লা কমিউনিটি সেন্টারে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চন পরবর্তী মূল্যায়ন সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মূল্যায়ন সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে নগর আ.লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করেছেন এবং এর সাথে সাথে নগর আ.লীগকে সুসংগঠিত করতে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া নেত্রী আমাকে নৌকার পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষে থানা পর্যায়ে এ মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
থানা আ.লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমেদ মহির সভাপতিত্বে ও সম্পাদক হাজী আদম আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, আ.লীগ নেতা ওসমান আলী, মো. শহীদুল্লাহ, এস এম শামীম, আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, মো. সাইফুল ইসলাম দুলাল, মীর ওসমান গনি কাজল, হাজী মনির, রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইকবাল হোসেন মোল্লা, মো. বাবুল হোসেন মন্ডল, মোস্তফা খান, তৌহিদুল ইসলাম দীপ, মো. মোশিউর রহমান সরকার বাবু, লিটন মোল্লা, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।
এদিকে মূল্যায়ন সভা চলাকালে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্রগোল শুরু হয়। এতে এক পর্যায়ে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি ঘটনা ঘটে। এসময় মো. রিদয়, মো. শফিক, মো. আশিক, মো. জাহাঙ্গীর, মো. বাবু ও ফারুক নামে ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post