নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগরীর ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বহুতল ভবনে পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা। এরমধ্যে আবার ঢাকার দুই সিটির ৫৫টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ।
মঙ্গলবার ৪ জুলাই বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভা কক্ষে ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রি-মনসুন সার্ভের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। জরিপের ফল উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, রাস্তা উঁচু হওয়া, এছাড়া ভবনের নিচতলায় কিংবা পার্কিংয়ে জমে থাকা পানির কারণে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে বেশি।
ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ২, ৩, ৫, ৬, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৭, ৩৮ নম্বরসহ মোট ২৭টি ওয়ার্ড।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৫০, ৫১, ৫৪, ৫৫, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডসহ মোট ২৮টি ওয়ার্ড।
ডা.নাজমুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা খুবই কম জায়গার মধ্যে লার্ভা ছড়াচ্ছে। যেমন পার্কিংয়ে কিংবা গেটের নিচে জমে থাকা পানিতে অনেক বেশি ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটির ৪০টি ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণ সিটির ৫৮টি ওয়ার্ডে মোট তিন হাজার ১৪৯টি বাড়িতে সার্ভে করেছি। এরমধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
Discussion about this post