নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার মাজুখানে বাঘেরটেক ডোবা বিল থেকে নূপুর নামে আট বছরের শিশুর লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহজনক আটক আবদুল্লাহ শিশুটিকে ধর্ষণের পর খুন করেছে বলে জানায়।
শনিবার বিকালে ফৌজদারী কার্যবিধির১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারিক্ত মূলক জবানবন্দি দেয় বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে আটক মাজুখান এলাকার লতা হারবাল বিডি লিমিটেডের গাড়িচালক আবদুল আলিমের ছেলে আবদুল্লাহ(১৮)।
শনিবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পূবাইল ও গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাকসুদুর রহমান জানান, বুধবার বিয়ে বাড়ি থেকে শিশুটিকে ফুসলিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে পাশের ডোবা বিলে ফেলে দেয়।লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও গুরুতর জখমের আলামত পাওয়া যায়।সন্দেহজনক আবদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বাঘের টেক এলাকার জাহাঙ্গীরের ভাড়াটিয়া মাজুখান পশ্চিমপাড়ার আবুল হোসেনের মেয়ে নূপুর পাশের বাড়ির লিটনের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘুরতে যায়। পাশাপাশি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় নূপুরের ঘরে ফেরা নিয়ে তেমন কোনো চিন্তিত ছিল না পরিবারটি। মাগরিবের পরও নূপুর বাড়িতে ফিরে না আসলে রাত ১০টার পর তার মা-বাবা নূপুরকে খুঁজতে এলাকায় মাইকিং করেন।
বুধবার বিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশুটির মরদেহ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ৪০নং ওয়ার্ডের বাঘেরটেক বিল থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেন পূবাইল থানা পুলিশ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত