নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পৃথক স্থান থেকে মা-মেয়েসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ৪ জুলাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন- জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার জাহিদ হোসেনের স্ত্রী সিনথিয়া আক্তার (২৪) ও তার তিন বছর বয়সী মেয়ে আয়েশা জান্নাত লামিয়া, ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বিন্নরীপাড়া এলাকার আনোয়ার খানের ছেলে আব্দুল্লাহ (১০), তারাকান্দা উপজেলার আব্দুল খালেকের স্ত্রী নুরুন্নাহার আক্তার (৩৪)।
ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মানিকুল ইসলাম বলেন, জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার জাহিদ হোসেন স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ১৪ বছর আগে সিনথিয়াকে বিয়ে করেন জাহিদ হাসান। অভাব অনটনের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সিনথিয়া রাতে সাড়ে তিন বছরের মেয়ে লামিয়াকে নিয়ে বসতঘরে ঘুমাতে যান। পরদিন সকাল ১০টার দিকে ঘরের দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা তাদের ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এসআই মানিকুল আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আগে মেয়েকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পরে সিনথিয়া নিজেও ওই একই রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, নুরুন্নাহার আক্তার দুই সন্তান ও স্বামী আব্দুল খালেককে নিয়ে ভালুকার কাশর এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নুরুন্নাহার ছাদে কাপড় শুকাতে যান। এ সময় পা পিছলে ছাদ থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন নাকি হত্যা করা হয়েছে, তদন্তের পর বলা যাবে। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে একই থানার আরেক এসআই কাজল হোসেন বলেন, উপজেলার ডাকাতিয়া বিন্নরীপাড়া এলাকার আনোয়ার খানের দুই ছেলে হুজাইফা ও আব্দুল্লাহ। দুজনই মাদরাসায় পড়াশোনা করতেন। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়িতে ছিলেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আব্দুল্লাহ মোবাইলে গেম খেলছিল। এ সময় বড় ভাই হুজাইফা গেম খেলতে দিবে না বলে মোবাইল নিয়ে নেয়। এরই জেরে আব্দুল্লাহ নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত