নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন মাজুখানে প্লাস্টিকের ড্রামের গোডাউনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।এ নিয়ে একই গোডাউনে দু’ দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটলো। কোনভাবেই চুরি ডাকাতির লাগাম টেনে ধরতে পারছেনা। এক মাসের ব্যবধানে ৩টি চুরি ১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটলো।ইতোমধ্যে পুবাইল থানাকে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করে প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার প্রজেক্টটি শুধু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আলোর মুখ দেখতে পারেনি।
অন্য দিকে একটি সূত্র জানিয়েছে নবনিযুক্ত গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার( জিএমপি) মাহবুব আলম তারবিহীন নতুন প্রযুক্তির সিসি ক্যামেরা সংযোগ দিয়ে নগরীর পুরো এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।যা মহানগর পুলিশের হেড কোয়ার্টার থেকে পরিচালনা করবে।তবে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং, উঠান বৈঠক, গণসচেতনতা, টহল পুলিশিং কোন কিছুতেই পূবাইলে থামছেনা চুরি ছিনতাই ডাকাতি।
আইন শৃঙ্খলার অবনতিতে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করছেন পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার অনেকেই। চোর ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, কৃষক,চাকুরিজীবী,সাংবাদিক, এমনকি ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়িও।তাই আইনশৃঙ্খলা উন্নতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি এলাকাবাসীর।
জানা যায় বুধবার ভোররাতে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ৪০ নং ওয়ার্ডের মাজুখান পশ্চিম পাড়ায় মনিরের গোডাউনে ডাকাতের একটি সংঘবদ্ধ দল ছাদের টিন কেটে প্রবেশ করে। দেশিয় অস্ত্রসজ্জিত ডাকাত দল ফটকের দুটি তালা ভেঙে কয়েক লাখ টাকার প্লাস্টিকের ড্রাম নিয়ে যায়।ডাকাতি চলে আনুমানিক ভোর রাত ৩টা থেকে ফজরের আজানের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত।
গোডাউনের নিরাপত্তা কর্মী জয়নাল খান ও তার স্ত্রী নাজমা এক ডাকাতকে জড়িয়ে ধরলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে যায়। তিনজনকে চিনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন জয়নাল খান। বাকি ৪-৫ জনকে চিনতে পারেনি।ওই দম্পতির ডাকাত ডাকাত চিৎকারে এলাকাবাসী চলে আসলে পিছনের রেললাইনের পাশে প্রায় দেড়-দুই লাখ টাকার ড্রাম ফেলে পালিয়ে যায়। তবে কত টাকার মালামাল লুঠ হয়েছে তার সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
স্থানীয় নবনির্বাচিত কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম খান বিকি জানান গোডাউনের মালিক হজব্রত পালন শেষে মক্কা থেকে ডাকাতির ঘটনা জানিয়েছেন। আমিও দেখতে পেলাম সিসি ক্যামেরার বৈদ্যুতিক লাইন, গেটের তালা ভেঙে অনেক মালামাল লুঠ করেছে ডাকাতেরা।আশা করবো পুলিশ মামলা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এস আই সাইফুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি।
গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাকসুদের রহমান জানান, আমি বিষয়টি জেনে জানাচ্ছি।
Discussion about this post