
আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরোচীফ: ঢাকার আজিমপুর থানাধীন বদন চাচা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাঘায় ভুট্টা ক্ষেতে র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় চঞ্চল্যকর যুবক হ’ত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামী মোঃ সিয়াম ইসলামকে (১৯), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাং-বুন্দিপাড়া, থানা-বাঘা, জেলা-রাজশাহীকে গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতারকৃত আসামির ০২টি মোবাইল ও ০২টি সীম উদ্ধার করে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল বিকালে নি’হত সিফাত ইসলামকে অজ্ঞাতনামা (০৬) ছয়জন পথরোধ করে কাটাখালী ইউপির সিরাজপুর বালুর মাঠে নিয়ে যায়। বালুর মাঠে আসামী মোঃ সিয়াম ইসলাম আগে থেকেই ভুট্টা ক্ষেতে অবস্থান করতেছিল এবং কাচঁতে দেশে বিদেশে জঙ্গি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও/পোস্ট দেখতেছিল। পরে আসামীরা মিলে সিফাত ইসলামকে বালুর মাঠের ভিতর পূর্ব দিকের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অ’স্ত্র দিয়ে গলাকেটে হ’ত্যা করে এবং বালুর মাঠের দক্ষিণ পাশের পুকুরে লাশ ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নি’হতের মৃ’তদেহ উ’দ্ধার করে। অতঃপর বালুর মাঠ থেকে পাহাড়াদারদের ভুট্টা ক্ষেতের পাশে যেতে দেখা যায় আসামী সিয়ামকে নিয়ে এক যুবক দৌড়ে পালাতে যায়।পরবর্তীতে মাঠে পাহারাদারদের ভুঁইয়া ক্ষেতের উত্তর-পূর্ব কোণায় গিয়ে নি’হত সিফাতের অচেতন ও র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়দের মোটরসাইকেলে করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃ’ত ঘোষণা করেন। নি’হতের শরীরে একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। নি’হত সিফাতের হ’ত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামী দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে ও দেশব্যাপী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক/প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
উক্ত ঘটনায় বাঘা থানা হতে নি’হত সিফাতের পিতা বাদী হয়ে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে একটি হ’ত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনায় আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।র্যাব-৫, সিপিসি-১, রাজশাহী ও র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার ক্যাম্পের একটি যৌথ গোয়েন্দা ও অভিযানিক দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর একমাত্র আসামিকে ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত্রি আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আজিমপুর থানাধীন বদনচাচা মসজিদ সংলগ্ন এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত আসামিকে রাজশাহী জেলার বাঘা থানা পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Discussion about this post