নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরের পূবাইলের খিলগাঁওয়ে মেহেদী হাসান জনি(৩৩) ওরফে বোবা জনির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত্যুর পূর্বে চিরকুটে তার নিজের মত করে লিখে গেছেন তার অন্তরের জ্বালা যন্ত্রনা দুঃখ কষ্ট গুলো।প্রতিবন্ধী থাকা সত্বেও তাকে বাঁচার মত বাঁচতে দিলনা কিছু মানুষ।এই কষ্টের অনুভূতি গুলো কলমের কালিতে লিখেছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। ভাঙা ভাঙা শব্দে লিখলেও পড়ে বুঝতে অসুবিধা হবেনা কারোরই তার না বলা বেদনা দুঃখ-কষ্টগুলো।সে তার মরার আগে একান্ত আপনজনসহ অনেকের নাম লিখেও “আল্লাহ সত্য লিখে “অনেককেই কাঁদিয়েছে। সে এলাকাতেই রাজযোগালীর কাজ করতো।
রোববার দুপুরে নগরীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও পশ্চিম পাড়া এলাকার নিজ ঘরের টিনের আড়ার সাথে গামছা বেঁধে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
বাক-প্রতিবন্ধী মেহেদি হাসান জনি একই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। তার জন্মদাতা মা- বাবা বিবাহ বিচ্ছেদ করে পূর্বেই পৃথক ভাবে সংসার করছেন। আর জনি পৈত্রিক ভিটায় ছোট্ট একটি টিনের ঘরে একাই বসবাস করছিলেন।
জানা যায় বাক-প্রতিবন্ধী অল্প শিক্ষিত জনি ইদানীংকালে তার ভিটা ঘর নিয়ে খুবই উৎকন্ঠায় দিন কাটাতো।মিথ্যে মামলায় নাকী ইতোমধ্যে জেলও খেটেছেন।বিয়েও করে ছিলেন। সে ঘরে দুটি ছেলে সন্তানও আছে। কিন্ত তার ছোট্ট দুটি সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। সেই থেকে একা সংসার জীবন অতিবাহিত করছিল বোবা জনি।অন্যদিকে কিছু দিনযাবত তার প্রতিবেশী কিছু লোক তাকে খাবার পানি গোসলের পানি না দিয়ে বিভিন্নভাবে কষ্ট দিচ্ছিল। অবশেষে রোববার তার দাদীকে তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল, প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড,রেশন কার্ড দিয়ে কবর দেয়ার জায়গা দেখিয়ে দিয়ে কেন সে বাঁচতে চায়না সে কথা জানিয়েই বিদায় নিলেন পৃথিবীকে চিরতরে বাক- প্রতিবন্ধী জনি। বিলাপ করে তার বুড়ো দাদী ছোট বোন ও বাবা এমনটিই বলছিলেন।
এব্যাপারে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান,ফোর্স পাঠিয়েছি বিস্তারিত জানাতে একটু সময় লাগবে।
Discussion about this post