নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা। শেষ মুহুর্তে গ্রামে ফিরছেন শিল্পাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ। তবে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন গন্তব্যে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মঙ্গলবার ২৭ জুন বিকেল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাতভর থেমে থেমে চলেছে যানবাহন। বুধবার ২৮ জুন সকাল থেকে গাজীপুর অংশে যানজট না থাকলেও মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে আগের মতোই।
আজ সকাল ৯টায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ভিড়। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজারও যাত্রী। তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। কেউ ছাতা নিয়ে, কেউ মাথায় পলিথিন পেঁচিয়ে, কেউবা আবার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রওনা হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেল, পিকআপ, ও গরুর ফিরতি ট্রাকে বাড়ি ফেরা লোকজন। ট্রাকের ওপর ত্রিপল টাঙ্গিয়ে রওনা হয়েছেন অনেকেই।
চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যানজট না থাকলেও পরিবহন ও যাত্রীদের চাপে জটলা বেঁধেছে। বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য।
রাজশাহীর তানোড় যাচ্ছেন হালিমা খাতুন। তিনি বলেন, গতকাল কারখানা ছুটি হয়েছে। যানজটের কারণে গতকাল বের হইনি। ভেবেছিলাম ফজরের পর বের হবো কিন্তু বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যায়নি। বৃষ্টি না থামলেও বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়েছি। কারণ যে বাসায় থাকি সেটি ফাঁকা হয়ে গেছে। এজন্য একা থাকাটা কষ্টকর। এজন্য বৃষ্টির মধ্যেই বের হলাম।
নাওজোর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আতিকুল ইসলাম বলেন, এই বৃষ্টির মধ্যেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল যে যানজট ছিল সেটি এখন নেই। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
Discussion about this post