আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নি’খোঁজের ২ দিন পর পদ্মা নদীতে যুবক আসাদের লা’শ উ’দ্ধার।
উপজেলাধীন ৭ নং চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে ডুবেযায় আসাদ হোসেন (১৮) নামের এক যুবক নি’খোঁজ হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে।
রবিবার ২১ এপ্রিল উপজেলার চকরাজাপুর চর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর পানিতে ডুবুরির দলের ২ দিনের চেষ্টায় প্রায় ৪০ ফিট পানির নিচে আসাদের মরদেহ উ’দ্ধার করে। নি’হত আসাদ হোসেন দাদপুর চরের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
তথ্য মতে, গত শনিবার নিহত আসাদ হোসেন টিনের তৈরী ডু’ঙ্গা নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে চকরাজাপুর পদ্মা নদীর খেয়াঘাটে পশ্চিমে যাচ্ছিল। সে পদ্মার মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে পদ্মার পাকে পড়ে ডুবে যায়। তার সাথে থাকা দুইজন এগিয়ে গিয়েও উ’দ্ধার করতে পারেনি। পরে চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় নৌকা ও জাল নিয়ে এক ঘন্টা খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নিহত আসাদের ভাই কায়েস উদ্দীন জানায়, পদ্মায় মাছ ধরে সংসার চালায়। ভাই টিনের তৈরী ডু’ঙ্গা নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে আসেন। আমি এ সময় এতো দুপুরে না আসার জন্য বলি, কিন্তু ভাই আমার কথা না রেখে মাছ ধরতে এসে পদ্মায় পানিতে ডুবে লা’শ হয়ে ফিরলো।
৭ নং চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডিএম বাবলু দেওয়া বলেন, স্থানীয়ভাবে নৌকা নিয়ে খোঁজ করে না পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে অবগত করেছি। তারা আসনের বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য বাঘা উপজেলায় গত ১৯ এপ্রিল উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন সজিব (১০) গোসলে করতে নেমে ডুবে মৃ’ত্যু হয়েছে।
এছাড়া ১৪ এপ্রিল চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চরের পদ্মা নদীর ঘাটে গোসলে নেমে ঝিলিক ও জান্নাতী খাতুন নামের দুই শিশু নি’খোঁজ হয়। এরমধ্যে ২৩ ঘন্টা পর জান্নাতীর লাশ উ’দ্ধার হলেও ঝিলিকের লাশ ৭ দিনেও পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post