তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মিনহাজুর রহমান: শর্ত শিথিল করে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবি মেনে না নেওয়ার অভিযোগ তুলে ফের নীলক্ষেতে অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় কয়েক’শ শিক্ষার্থী। তারা বলছেন,দাবি আদায় না হলে আজ ঘরে ফিরে যাবো না। প্রয়োজনে এখানেই আত্মহত্যা করবো। তবু ঢাবির এই প্রহসন আর মানবো না।
তাদের দাবি হচ্ছে- নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে, তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।
আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থী মাসুম আহমেদ বলেন, সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে সর্বোচ্চ তিন কোর্স পর্যন্ত মানোন্নয়ন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে আমাদের। সেই দাবির ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের এ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আমাদের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার তারিখ দিছে। আমাদের ফেল করাই দিছে। আমাদের কি হবে জীবনে…
আক্ষেপ করে নাজমুন্নাহার নামে আরেক শিক্ষার্থী জানায়, যেখানে আমাদের ৩ মাসে রেজাল্ট দেবার কথা সেখানে দেড় বছর পরে রেজাল্ট দেয় ঢাবি। কলেজগুলোতে ক্লাস নেয় না। আমরা তো ফেল করে পাস চাচ্ছি না। আমরা পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন চাইতেছি। আমরা ফেল করা পরীক্ষাগুলো তো আবারো দিবো। তবুও কেন, কোনো ডিসিশন দিতে পারছে না ঢাবি?
সাত কলেজের অভিভাবক কে একটু বলেন…শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে এই মুহূর্তে নীলক্ষেত এলাকার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যানজটে দীর্ঘ সময় বাসে, রিকশায় বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন অনেকে।
যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে নিউমার্কেট ও লালবাগ থানা পুলিশের সদস্যরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টা দুপুর ১টা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেই সপ্তাহেই রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ গণঅনশন পালন করেন তারা।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।
Discussion about this post