নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রেমিকাকে নিয়ে লালমনিরহাটের গ্রামের বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার দুই মাসের মাথায় গাজীপুর থেকে গ্রেমিকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। প্রেমিক যুগল স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো বলে জানা গেছে। নিহত প্রেমিকের নাম আজিজুল ইসলাম উজ্জল (৩২)। গত ১৬ মে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার দক্ষিণ ছয়দানা এলাকার জনৈক সজিবের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ১৫ দিন পর গতকাল বুধবার নিহত উজ্জলের পিতা আইয়ুব আলী গাছা থানায় এসে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেন।
আইয়ুব আলী অভিযোগ করে জানান, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানর প্রান্নাথ পাটিকাপাড়ার আইয়ুব আলীর মেয়ে নিশির সাথে তার ছেলে উজ্জলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তারা প্রায় দুই মাস আগে উভয় পরিবারের অসম্মতিতে গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং গ্রামের বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকার সাভারে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। সাভারে এসে উজ্জল গাড়ি চালাতো। সে গত ১৫ মে গাড়ির ভাড়া নিয়ে গাছা থানার ছয়দানা এলাকায় আসে। তখন তার স্ত্রী নিশির বোন জাকিয়া আফরিন জুথীর স্বামী রানা উজ্জলকে ধরে নিয়ে ছয়দানায় তার (রানার) ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে গাড়ির মালিককে ফোন করে এনে গাড়ি ফেরত দিলেও উজ্জলকে রেখে দেয়। ওই দিন রাতে নিশির বড় বোন ও তার স্বামী এবং ওই বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জলকে হত্যা করে লাশ ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। এঘটনায় তিনি গাছা থানায় হত্যার অভিযোগ দিলে পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে।
এদিকে এব্যাপরে নিহত উজ্জলের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী গাছা থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া মন্তব্য করা যাচ্ছে না।’ নিহত উজ্জলের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানর সাতহাত কালীবাড়ী গ্রামে।
এব্যাপারে গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রিপোর্টে আঘাত জনিত কারণে মৃত্যুর কথা উল্লেখ থাকলে অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত