নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন রেলওয়ে স্টেশন বাজারে সম্ভুর স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নারায়ণ জুয়ালার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানের চালের টিন ও গ্রীল কেটে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে চোরেরা ৭০ ভরি রুপা-স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। এই চুরির ঘটনা নিয়ে পূবাইল থানার বিভিন্ন স্থানে ১১ দিনের ব্যবধানে ৬ টি চুরি ও একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটলো।
জানা যায় ১৯ আগষ্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই চুরিও ডাকাতির ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই থানার আশেপাশেই সংঘটিত হয়। জনবল, পরিবহন সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯ আগষ্ট ভোর রাতে পূবাইল থানার পাশের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কুদাব বাগিচা এলাকার চোরেরা চেতনানাশক ওষধ স্প্রে করে তরিকুল ইসলাম লিটনের বাড়ি থেকে নগদ এক লাখ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ ও ৪টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। একই দিন ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তালটিয়া এলাকায় শহিলুল্লাহ কসাইওয়ের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়।পরদিন ২০ আগষ্ট সন্ধ্যায় একই এলাকায় একই পদ্ধতিতে জাহাঙ্গীরের ভাঙ্গারি দোকান থেকে চেতনানাশক ওষধ স্প্রে করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।২১আগষ্ট কুদাব পালোয়ান বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ায় একটি টয়োটা এক্সিও গাড়ি ৪টি মোবাইল সেট রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা।ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহজনক কয়েকজনকে আটক করেছিল পুলিশ।২৯ আগষ্ট মিরের বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান মার্কটের জাহিদের চাউলের দোকান থেকে চালের টিন কেটে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।পূবাইলের আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসি। চুরি শিকার বেশিরভাগ মানুষই হয়রানি ও ঝামেলার আশঙ্কায় মামলা করেন না। এত করে চুরির মামলা হয় কম। আবার কেউ কেউ মামলা করতে গেলে নেন জিডি।
সর্বশেষ স্বর্ণের দোকানে চুরি বিষয়ে জানতে চাইলে, পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠাচ্ছি।
Discussion about this post