ফাহিম ফরহাদ নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় পারিবারিক কলোহে ও মাদকাসক্ত হওয়ায় পৃথক স্থানে দু’জন আ’ত্মহ’ত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহ’স্পতিবার (৭নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ। তারা হলেন মোসা: নাসরিন সুলতানা (২৭) ও মো: আরমান শিকদার (২৮)।
জানা যায় নাসরিন সুলতানা মহানগরীর গাছা থানার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারবাড়ী রোডের গাছা পূর্ব পাড়ায় স্বামী সালাউদ্দিনের সাথে বসবাস করতেন। স্বামী মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সাইন্সে সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন। পারিবারিক দা’ম্পত্য জীবণে তাদের রয়েছে দুই ছেলে স’ন্তান।
পারিবারিক কলোহে গত বুধবার (৬নভেম্বর) রাতে স্বামী সালাউদ্দিনের সাথে নাসরিনের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সাময়িক মিটমাট হলে উভয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে বুধবার দিবাগত ভোর রাতে ফের একই কলোহের সূত্রপাত হলে ঘরের দরজা ব’ন্ধ করে সিলিংয়ে উড়না পেঁচিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেন নাসরিন। স্বামী ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় টের পেয়ে দরজা ভেঙ্গে সিলিংয়ে উড়না পেঁচানো ঝুল’ন্ত অব’স্থা থেকে তাকে উ’দ্ধার করে।
পরে তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে নিহতের পিতা জয়নাল আবেদীন শেখ গাছা থানায় লিখিত একটি অপমৃ’ত্যুর সংবাদ দেন।
অপর দিকে একই দিন বৃহ’স্পতিবার (০৭নভেম্বর) দিবাগত মধ্য রাতে মহানগরীর গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাড়ি কুনিয়া এলাকার আয়ুব আলী ও মনি আক্তার দ’ম্পতির মেজো ছেলে আরমান শিকদার (২৮) নামে এক যুবক নিজ গৃহে ব্যাগের ব্যাল্ট গলায় পেঁচিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেন। নিহতের মা জানায় আরমান মাদকাসক্ত ছিলো সে দীর্ঘদিন চর্মরোগে ভূগছিলো, যার ফলে সে প্রায়সই মানসিক বিপর্য’স্ত হয়ে বিষণ্ণতায় ভূগতো এবং এলোমেলো আচরণ করতো।
পরিবারের ধারণা মানসিক বিপর্য’স্ততা থেকেই আরমান বৃহ’স্পতিবার দিবাগত রাতের কোন একসময় নিজ গৃহে আ’ত্মহ’ত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে নিহতের মা মনি আক্তার গাছা থানায় একটি অপমৃ’ত্যুর ডায়েরি করেছেন।
Discussion about this post