দেলোয়ার হোসেন পাঁচবিবি জয়পুরহাট প্রতিনিধি: দরগাপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। পাঁচবিবির বালিঘাটা ইউনিয়নের দরগাপাড়ায় ১৯৯৫ সালের ২২ফেব্রুয়ারি এ প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি গড়েন, মরহুম আফসার রহমান। মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে শিশু থেকে ৩য় জামাত পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। নাজেরা ও হিফজ বিভাগেসহ ১১৩ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে। এদের মধ্যে ৪ জন এতিম ও অসহায় শিশুকে বিনামূল্যে পড়াশোনা, থাকা-খাওয়া ও পোশাক দেয়া হচ্ছে। এ বছর ৩ জন হাফেজে কোরআন ছাত্রকে পাগড়ি দেয়া হয়েছে।প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মসূচি পালন ছাড়াও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সাপ্তাহিক পাঠ মূল্যায়নসহ নিয়মিত এসেম্বলি ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে অংশগ্রহণ করে বলেও জানান মুহতামিম।
তিনি আরো বলেন, মূলতঃ এলাকাবাসীর দান-অনুদানেই মাদ্রাসাটি পরিচালিত হচ্ছে। এ সময় তিনি যাকাত, ফিতরা, সাদাকাসহ নিয়মিত সহায়তা দানের জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান। মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোঃ আবু তৈয়ব বলেন, শিশুদের আধুনিক সাধারণ শিক্ষাসহ, সহীহভাবে কোরআন শিক্ষা, মাসলা-মাসায়েল, দোয়া, শুদ্ধভাবে প্রাত্যহিক ইবাদতের নিয়ম-কানুন শেখানো হয় সযত্নে । মাদ্রাসার পাঠদান ও আবাসিক কক্ষ বাড়ানো জরুরি। স্বাভাবিক পাঠদানসহ মাদ্রাসার ভবন উন্নয়নে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি। ঐ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও মাদ্রাসা কমিটি সদস্য আব্দুল বারিক বলেন, অজপাড়াগাঁয়ে পিছিয়ে পড়া শিশুদের সাধারণ শিক্ষা ও দ্বীনি শিক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন মরহুম আফসার রহমান।
মাওলানা সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামে মেয়েদের জন্য আমি আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করেছি আরো একটি হযরত বিবি আছিয়া (রা:) বালিকা কাওমি মাদ্রাসা। সেখানে ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে অর্ধ শতাধিক। প্রতিষ্ঠান ২টি আবাসিক হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমস্যা প্রকট। তাই ব্যয়বহুল এই প্রতিষ্ঠান ২টি চালিয়ে নিতে এলাকাবাসী ও দেশবাসীর কাছে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা ও সহানুভূতি কামনা করছি।
Discussion about this post