দেলোয়ার হোসেন,পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি: গত কয়দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা ও অন্যান্য আর্বজনা সাঁকোর খুঁটিতে আটকিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মানাধীন মাউরিতলা ব্রিজের বিকল্প কাঠের সাঁকোটি ঝুঁ’কিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
তীব্র স্রোতে খুঁটির নিচের মাটি সরে যাওয়ার কারনে কাঠের ব্রিজটির মাঝখানে দেবে গেছে। এছাড়া স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা ও আবর্জনা খুঁটিতে আটকিয়ে আরো ঝুঁ’কিপুর্ন হয়ে পড়েছে বিকল্প সাঁকোটি। এতে করে ঝুঁ’কি নিয়েই ঐ সাঁকো দিয়েই চলাচল করছে দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। সাঁকোটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে বলে মনে করছেন পথচারীরা।
জানা যায়, ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি অতিক্রম করে এসে পাঁচবিবি শহরের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীর বড়মানিক নামক স্থানে ৬০ এর দশকে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। যা মাউরিতলা ব্রিজ নামে পরিচিত। ব্রিজটি চলাচলের জন্য অধিক ঝুঁ’কিপূর্ণ হওয়াই স্থা’নীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝুঁ’কিপূর্ন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলে এবং চলতি বছরের শুরুতে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ৯০.০৬ মিটার দৈর্ঘ্য নতুন ব্রীজ নির্মাণ শুরু করেন। ব্রিজ নির্মাণ স’ম্পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ, ভ্যান-রিক্সা ও মটরসাইকেল ও পারাপারের সুবিধার্থে ব্রিজ নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতি’ষ্ঠান বাঁশ-কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরী করেন। কিন্তুু গত তিন দিনের একটানা বৃ’ষ্টির কারণে এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের তীব্র স্রোতে সাঁকোর বাঁশের খুটির গোড়ার মাটি সরে গিয়ে মাঝখানে দেবে গেছে। একারণে জন সাধারণের চলাচলে ঝুঁ’কি হয়ে পড়েছে সাঁকোটি।
তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কয়েকজন শ্রমিক সাঁকোয় আটকে থাকা কচুরিপানা ও আর্বজনা অপসারণ করে ঝুঁ’কিমুক্ত করার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা বলেন, সাঁকোটি যেন ক্ষতির মুখে না পরে সেজন্য প্রকৌশল বিভাগকে ব্য’বস্থা নিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জয়পুরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, সাকোঁটি জনসাধারণের চলাচলে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হচ্ছে।
Discussion about this post