দেলোয়ার হোসেন পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: পাঁচবিবিতে বে-আইনিভাবে রাস্তা বন্ধ করে ৮টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের কুটাহারা গ্রামে।
অবিলম্বে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অবরুদ্ধ এলাকাবাসী। খবর পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মন্ডল মুন্না।
অভিযোগে জানা যায়,বিবাদী ওই গ্রামের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্যা রাজিয়া সুলতানা ও তার স্বামী মোঃ রাহিদ আখতার ৫০ বছরের পুরনো সাবেক রাস্তাটি দোকান ঘর করে বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাড়িতে যাতায়াতের জন্য বিকল্প রাস্তা করে দেয়। বর্তমানে বিবাদীগণ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবাটোরা নিয়ে বড় ভাই মোঃ আল মামুন আক্তারের সাথে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। এই গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে গত ২০শে রমজান ৩১ শে মার্চ তারিখে হঠাৎ তারা বিকল্প রাস্তাটিও টিন দিয়ে ঘিরে বন্ধ করে দেয়। ফলে ওই এলাকার ৮টি পরিবারের লোকজন বর্তমানে বাড়ির থেকে বের হতে পারছে না ।
এ ব্যাপারে বড় ভাই আল মামুন আক্তার গত ৬ এপ্রিল বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদে জোরপূর্বক রাস্তা দখলের অভিযোগ তুলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হক বিষয়টি সমাধান করতে না পেরে বাদীগণকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট যাওয়ার জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ করেন। সুপারিশের প্রেক্ষিতে অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাদ্দাম হোসেন, রানা হোসেন, রবিন হোসেন, শ্রী মানিক চন্দ্র সরকার, শ্রী চঞ্চল সরকার,শ্রী অখিল দত্ত ও শ্রী কুকিল দত্ত বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাঁচবিবি থানায় প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় বাদী বিবাদী উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সংবাদ পেয়ে ১৬ই এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিনে পরিদর্শন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মন্ডল মুন্না। তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে ভাই ভাইয়ের দন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার জন্য উভয়পক্ষকে সবিনয়ে অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে বিবাদী ইউপি সদস্য রাজিয়া সুলতানা ও তার স্বামী রাহিদ আকতার বলেন,আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি মাত্র ৩ শতক।ওই সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা দিলে তো আমার কিছুই থাকবে না। তাই আমার সম্পত্তি আমি ঘিরে নিয়েছি। রাস্তা যে নাই তা না। অপরপ্রান্তে তাদের অনেক বড় রাস্তা রয়েছে। আমরা যদি তাদের অবরুদ্ধ করেই রাখবো তাহলে তারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছে কিভাবে?আমাদের বিরুদ্ধে তাদের আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং তারাই উল্টো আমাদের পানি নির্গমনের ড্রেন বন্ধ করে, বাড়িতে টিনের পানি ফেলে বছরের পর বছর ধরে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমরাও এর বিচার চাই?
Discussion about this post