ফাহিম ফরহাদ, নিজস্ব প্রতিনিধি: টঙ্গীর তুরাগতীরে মাওলানা সাদ কান্ধলবী অনুসারিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হেদায়াহের বয়ানের শেষে অশ্রুসিক্ত নয়নে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শেষ ধাপ। এ মোনাজাতের মাধ্যমে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা নির্বিঘ্নে সমাপ্তি হলো।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সারে ১২টায় এই মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। মোনাজাত শেষ হয় ১.০৭ মিনিটের সময়।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকার আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে। নিরব কিংবা উচ্চশব্দে মানুষের কান্নার সুরে প্রকম্পিত হয় তুরাগ নদতীর। নানা বয়সী ও শ্রণী পেশার মুসল্লিরা মোনাজাতে অংশ নিয়ে আল্লাহর দরবারে মনের নেক আকুতি পুরোনের দাবি জানান। কেউবা আবার গুনাহ মওকুফের জন্যে তাওবা করেন। মুসল্লিরা জানান, হানাহানি ভেদাভেদ ভূলে সকল অনুসারিরা একসাথে ধর্মীয় উৎসব পালনসহ বিশ্ব মুসলিন উম্মাহের শান্তি কামনায় দোয়া করেন।
ফজরের নামাজের পর হেদায়াহের বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মোরসালিন, যার বাংলা তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। আখেরি মোনাজাতের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়াহের কথা বলেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, যার তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।
আখেরি মোনাজাত নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে বিভাগ আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন বলেও জানা গেছে। এবারের ইজতেমায় ৪৯টি দেশের প্রায় দেড় হাজারের অধিক বিদেশি মুসল্লি অংশ নেন।
আখেরি মোনাজাত শেষে ৩০,৬০,৯০ দিন কিংবা ১২০ দিনের জন্যে তারা দাওয়াতি সফরে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়বেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত তিনজন মুসল্লির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে পুলিশ সূত্রে।
উল্লেখ্য:- এর আগে, প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজামের অনুসারীরা অংশ নেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত