তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু এই দেশকে উপনিবেশক শাসন থেকে মুক্ত করে সোনার বাংলায় পরিনত করেছেন বলে মন্তব্য করেন বীরমুক্তিযুদ্ধা ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ। তিনি বলেন, আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলো বলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটেছে। কিন্তু রাজাকার অনুসারীদের বেপরোয়া মনোভাবের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি এখনো মেলেনি।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি তিতুমীর কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শোকান্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম। ড. মোছাঃ জোহরা সুলতানা রুনীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, চলচ্চিত্র পরিচালক ও বিশিষ্ট নাট্যজন আওর বলেন, বঙ্গবন্ধু এই দেশকে উপনিবেশক শাসন থেকে মুক্ত করে সোনার বাংলায় পরিনত করেছেন। তাই মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে লালন করে জাতিকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে ১৫ আগস্টের এই শোক দিবসে আমাদের প্রত্যয় হোক, এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করব।
সভায় অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম শোকাবহ মাস আগস্টের বর্ণনা করে বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ও কলঙ্কজনক অধ্যায়ে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ঘাতকচক্র ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
এর আড়ে সকালে কলেজের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ও কলেজ প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অধ্যক্ষ। এসময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লসহ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষে ১৫ আগস্টের সব শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। পরে জোহরের নামাজের পর তিতুমীর কলেজের মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post