ফাহিম ফরহাদ, নিজস্ব প্রতিনিধি: “আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন বার্ষিক প্রতিযোগীতা পালন হয়। তবে আমাদের সুস্থ-সুন্দর শিক্ষা ব্যাবস্থাকে বিগত সরকারের আমলে ধ্বংশের একটা চক্রান্ত করেছিলো। শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংশ করে দেয়াও হয়েছিলো। তারা বইতে কিছু হাস্যকর অনুচ্ছদ দিয়েছিলো, যা নিয়ে সমাজে বেশ সমালোচনাও হয়েছিলো।”
গাজীপুর মহানগরীর গাছা মেট্রো থানার আওতাধীন শরীফপুর জিয়াশ খান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বার্ষীক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আ’ওয়ামীলীগের সমালোচনা করে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে এসব কথা বলেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি। বুধবার (২৯জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বক্তব্যে প্রধান অতিথী বলেন, “আমরা দেখেছি একদিকে ইসলামের বইয়ে মূর্তির ছবি দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলো। এই ধরনের প্রচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র কিন্তু ওই সরকার করেছে। আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া সেই ফ্যাসিবাদ সরকার থেকে আমাদের মুক্ত করেছে। আমরা বলতে চাই শিক্ষকরা জাতীর মেরুদণ্ড। তারা ছাত্রছাত্রীদের যেভাবে শিক্ষা দিবেন, গড়ে তুলবেন, সেভাবে তারা বড় হবে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান সাহেব কিছুদিন আগে বলেছেন, যে ছেলেটা গ্রামে থাকে পড়াশোনা কম করে কাজ থাকেনা বেকার থাকে তাকে আমরা স্কুল কলেজে দেই শিক্ষক হিসেবে। কিন্তু তারেক রহমান বলেছেন, আমরা চাই যে এলাকার সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রী তাকে আমরা শিক্ষক হিসেবে দিবো। কেননা সে-ই প্রকৃত শিক্ষা ছাত্রছাত্রীদেরকে দিতে পারবে। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় ও রাজনৈতিক ব্যাবস্থায় একটা পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আমরা একটা পরিবর্তনের কথা বলছি।”
রনি বলেন, “বরিবর্তন আমাদের নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলছি, সেই সাথে আপনাদের সহযোগীতা ছারা কিন্তু পরিবর্তন করতে পারবো না। আপনারা কোমলমতী শিক্ষার্থীরা যারা আছেন তারাই জাতীর ভবিষ্যৎ। আমরা দেখেছি গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের সাথে জনগণ মিলে বাংলাদেশকে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র থেকে উদ্ধার করেছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের শুভ কামনা জানান। এছাড়া বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া বিজয়ী ও বিজিত শিক্ষার্থীদেরও অভিনন্দন জানান প্রধান অতিথী।” এসময় তিনি প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে বক্তব্য দেন, গাছা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবুল ও থানা জামায়াত আমীর মিয়াজ উদ্দিন মাস্টার। আরও বক্তব্য দেন, গাছা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাঈম মিয়া, থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, আব্দুল জব্বার সরকার, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাজারী ও থানা জামায়াতের সহ-সভাপতি মাওঃ সানাউল্লা খান প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখার সহকারী কমিশনার, লাকী দাসের সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অতিথীদের উষ্ণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বক্তব্য শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আগত অতিথীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের আজীবন দাতা সদস্য রফিকুল আলম খান, আব্দুল কাদির খান, দাতা সদস্য, মশিউর রহমান সিপাই, স্কুল কমিটির সদস্য বিল্লাল হোসেন, সুরাইয়া খান, ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি বাসির উদ্দিন, বিএনপির আশরাফ মণ্ডল, গাছা থানা ছাত্র নেতা ইমতিয়াজ খান তুষার, নাবিল সিপাই-সহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এছারা উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, বিদায়ী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক-সহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা।
Discussion about this post