কালিমুল্লাহ ইকবাল বিশেষ প্রতিনিধি: দাওয়াতে ইসলামীর ‘ইজতিমা’ শুরু ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪,বৃহস্পতি বার তাহাজ্জুদের নামাজ থেকে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানীর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কাওলা (আশিয়ান সিটি) ময়দানে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সুন্নাতে ভরা ইজতিমা। কোরআন ও সুন্নাত প্রচারের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক দ্বীনী সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত এ ইজতিমা শেষ হবে ২১ ডিসেম্বর ১০ টায় বিশেষ বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। দেশের লাখো মুসল্লি এই ইজতিমায় যোগ দেবেন। তিন দিনের সুন্নাতে ভরা এ ইজতিমার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জিম্মাদার (মিডিয়া বিভাগ) মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী আত্তারী। মঙ্গলবার আশিয়ান সিটি ইজতিমা ময়দানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতিমধ্যে কাওলা (আশিয়ান সিটি) ময়দানজুড়ে টানানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। পুলিশ চেকপোস্ট, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইজতিমা ময়দানে প্রবেশপথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট ও ৫টি ওয়াচ টাওয়ার। আগত মুসল্লিদের তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হবে। পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে দাওয়াতে ইসলামীর কয়েক শত নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এছাড়া মুসল্লিদের জন্য অজু, গোসল, প্রয়োজনীয় হাজতখানা ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকছে। পিডিবির সহায়তায় দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি দিনের ইজতিমা জিম্মাদার ও দা’ওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহমুদুল হক কাদেরী, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সরফরাজ আশরাফী, বাহাদুর কাদেরী, মুহাম্মদ জাকির আত্তারিপ্রমুখ।
দা’ওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ জিম্মাদার (মিডিয়া বিভাগ) মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী আত্তারী বলেন সুফিবাদ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদায় বিশ্বাসী, বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠন হলো দাওয়াতে ইসলামী। সারাবিশ্বের মতো এদেশে ২০১৫ সাল থেকে তিন দিনের এই ইজতেমা করে যাচ্ছি।
ইজতিমায় কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা-কেয়াসের ভিত্তিতে ইমান-আক্বিদা ও আমল সম্পর্কে দিনরাত বয়ান করা হবে। কীভাবে নামাজ পড়তে হবে, ইসলামের ফরজ, সুন্নাত, নফল এবাদত কীভাবে করতে হয় দালিলিক প্রমাণ দ্বারা হাতে-কলমে মুসল্লিদের শিখিয়ে দেয়া হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তির পথে ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করা, জেহাদের নামে জঙ্গিবাদের যে স্থান নেই- এ বিষয়টি জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক সারগর্ভ আলোচনা হবে।
দেশের বরেণ্য সুন্নি ওলামায়ে কেরাম ও মোবাল্লিগগন এখানে আলোচনায় অংশ নেবেন। প্রতিদিন বয়ান শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দেশ, জাতি ও মুসলিম বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে। সারাদেশ থেকে ইজতেমায় লাখ লাখ আশেকে রাসুলের ঢল নামবে বলেও জানান জিম্মাদার।
দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহমুদ হক কাদেরি বলেন শুধু বাংলাদেশে নয়- ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইজতিমা শেষে মুসল্লিরা ১২ দিন, ৩০ দিন, ৬৩ দিন, ৯২ দিন ও ১২ মাসের মাদানী কাফেলায় বের হয়ে দেশের বিভিন্ন মসজিদে সফর করে ইলমে দ্বীন প্রচার করবে এবং মানুষকে ইসলামের পথে দাওয়াত দেবে।
Discussion about this post