সাব্বির হোসেন, টাংগাইল প্রতিনিধি: দেশের অন্যতম বৃহৎ ও জনপ্রিয় গরু-ছাগলের হাটের আরেক নাম কাইতলা হাট।দেশের বড় হাটগুলোর মধ্যে এটি একটি।সরকারের রাজস্ব খাতের মধ্যে এটি অন্যতম।দিনদিন বেড়েই চলেছে হাটের জনপ্রিয়তা আবার ইজারা নিয়ে রেষারেষিও কম না।হাটের জনপ্রিয়তা বাড়লেও রেষারেষির কারনে কমে গেছে গরু-ছাগলের সংখ্যা ও বিক্রি।
এই হাটটি অবস্থিত টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের কাইতলা এলাকায়।এটি কাইতলা গরুর হাট নামেই বেশি পরিচিত।
সরকারের রাজস্ব বাড়াতে এই হাটের প্রতি বছর টেন্ডার হয়।এই বছরও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।চলতি বছর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক হাটের টেন্ডার জমা দিতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।পরে একাধিক নামে টেন্ডার জমাও দেন অনেকেই।কিন্তু হাটের বর্তমান ইজারাদার ও তার অনুসারীরা মিলে টেন্ডার জমা না দিয়ে ইজারা ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করেন।পরে হাইকোর্ট থেকে হাটের ইজারা পাওয়ার বিষয়টি স্থগিত করে দেন বলে জানা যায়।এই নিয়ে যারা টেন্ডার জমা দিয়েছিল তাদের মধ্যে চলছে চরম উত্তেজনা।ফলে ব্যাহত হচ্ছে হাটের কার্যক্রম,কমে যাচ্ছে ক্রয়-বিক্রয়।
বর্তমান হাট কমিটির একাংশের সাথে কথা বললে তার বলেন,আমরা হাইকোর্টে রিট করার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত।ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা কোন হাট করতে পারি নাই।এই ক্ষতিপূরণের জন্যই আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি।
কিন্তু হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা ও বেপারিরা বলেন,আমরা সবসময় হাট করতে পেরেছি।আমাদের কোন সমস্যা হয় নাই।খুব সুষ্ঠুভাবেই হাট পরিচালিত হচ্ছে।
টেন্ডার জমাদানকারীরা বলেন,টেন্ডারের মাধ্যমে যে হাট পাবে,আমাদের কোন সমস্যা নাই।বর্তমান ইজারাদার ও হাট কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদক সহ অন্যান্যরা আওয়ামী লীগের দূসর।তারা জানে যে,টেন্ডারের মাধ্যমে তারা এবার হাট পাবেনা,তাই তারা জমাও দেই নি।এখন আমাদের কথা হলো,সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অধিকার তো তাদের নেই।তাই বৈধভাবে যে হাটের ইজারা পাবে,তাকেই দেয়া হোক। হাটের বর্তমান ইজারাদার হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
এ নিয়ে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতা,বেপারি ও স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা।তারা সকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এর দ্রুত সমাধান চান।
এ বিষয়ে হাট কমিটির কেউ কথা বলতে রাজি না বলে তারা জানান। স্থানীয় চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান বলেন,বৈধভাবে যে ইজারা পাবে,সরকার যেন তাকেই দিয়ে দেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন,একপক্ষ হাইকোর্টে রিট করেছে।ফলে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী হাটের ইজারা স্থগিত আছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত