নিজস্ব প্রতিবেদক: পরপারে চলে গেলেন সদা হাস্যজ্জ্বোল, সকলের প্রিয় শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কলিম (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।মৃত্যু অবধারিত, একদিন মৃত্যুর কড়াল গ্রাস সবাইকেই গ্রাস করবে এতে কেনো সন্দেহ নেই এবং এ থেকে বাঁচার কোনো উপায়ও নেই। কিছু মৃত্যু ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যু বড়ই বেদনাদায়ক।
মো: আব্দুল আওয়াল মুন্সি ওরফে (দুলা মিয়া)- মৃত ফিরোজা বেগম দম্পতির তিন ছেলে ও ছয় মেয়ের মধ্যে সাইফুল ইসলাম কলিম ছিলেন দ্বিতীয়। মৃত্যুকালে স্কুল শিক্ষক মো: সাইফুল ইসলাম কলিমের বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। তিনি মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে, সহকর্মী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) দিবাগত ১১ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুবরণ করেন। শিক্ষক মো: সাইফুল ইসলাম কলিমের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে। তিনি উপজেলার সনমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ২০২২ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্থানীয় কামারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় স্থানীয় কামারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। মরহুমের জানাজায় কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলার বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল-ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষকেরা ও বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। মরহুমের সহকর্মী ও কয়েকজন বাল্য বন্ধু জানান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম কলিম একজন অত্যন্ত অমায়িক, সদালাপী এবং সাদামনের মানুষ ছিলেন।
এদিকে এই মেধাবী শিক্ষকের মৃত্যুতে শিক্ষক সমাজ গভীর শোকাচ্ছন্ন। এই শিক্ষকের মৃত্যুতে তার পরিবার ও দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আমানত হোসেন খান।
এছাড়াও কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনাসহ তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
Discussion about this post