নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পলাশ মার্কেট এলাকা থেকে গৃ’হবধুর মরদে’হ উ’দ্ধার করেছে জিএমপি গাছা থানা পুলিশ। নিহতের নাম ঝর্ণা আক্তার (৪০) সে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার কর্ণঝোড়া এলাকার মৃত খালেক মিয়ার মেয়ে। তার মায়ের নাম জাহানারা বেগম।
জিএমপি গাছা থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মামুন মিয়া জানান, নিহত গৃ’হবধূ ঝর্ণা আক্তারের সাথে গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার মৃ’ত ওসমান মন্ডলের ছেলে জুয়েল মন্ডল ৮ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আব’দ্ধ হন।জুয়েল মন্ডল এর দ্বিতীয় বিবাহ এর পূর্বেও প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। জানা যায়, জুয়েলের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ৩ সন্তান নিয়ে দক্ষিণ কলমেশ্বর তাদের নিজের বাড়িতে বসবাস করতেন। অপরদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার নগরীর পলাশ মার্কেট এলাকার বিলকিসের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।জুয়েল মন্ডল সেখানে মাঝে মধ্যে যাতায়াত করতেন।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহ উ’দ্ধারের সময় পুলিশ ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায়, সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তার ভাড়া বাসার কক্ষে একাই ঘুমিয়ে পড়েন নিহত ঝর্ণা আক্তার। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে রাতের কোন এক সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হ’ত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।এদিকে নিহতের ছোট বোন জানায়, তার বোনের সাথে স্বামী জুয়েলের সুসম্পর্ক ছিল। কখনো কোন ঝগড়া বিবেদের কথা শোনা যায়নি। কি কারনে তার বোন খু’ন হতে পারে তা তিনি বলতে পারছেন না।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একটি প্রতিপক্ষ জুয়েল কে মারার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ খুঁজে আসছিল। জুয়েলের খুঁজে বেশ কয়েকদিন ঝরনার ভাড়া বাসায় হানা ও দিয়েছিল তারা। এদিকে বিব’স্ত্র অবস্থায় নি’হতের মরদেহ উ’দ্ধার করা হয়। তাই হত্যা করার পূর্বে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জিএমপি গাছা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আর মামুন জানান, নিহতের মরদেহ ময়না ত’দন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি জানান, এ বিষয়ে গৃ’হবধূর স্বামী মৎস্যজীবীলীগ নেতা মো. জুয়েল মন্ডলকে আটক করে একটি মামলা হয়। আসাসী জুয়েল মন্ডল কে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড মঞ্জুর কররে বিস্তারিত জানা যাবে।
Discussion about this post