
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৩ সালে গাজীপূর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর চিঠিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দায়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওয়াল সরকার কে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়ে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজীপুর , ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে রঙ-বেরঙয়ের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করতে। এটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু, অনভিপ্রেত এবং দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। দলের অতি উৎসাহী কতিপয় নেতাকর্মীদের বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। দলের আদর্শের নেতা কর্মীরা স্বাগত জানালেও কিছু উশৃংখল স্বার্থবাদি বহিষ্কৃত নেতা আওয়াল সকার মানতে নারাজ , দলকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একের পর এক ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার ঢাকা ময়মনসিং রোড বড়বাড়ি এলাকায়সহ ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অলিতে গলিতে ব্যবহার করে নিজেকে দলের প্রভাবশালী নেতা জাহির করতে মরিয়া,হয়ে উঠেছে। এই নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নানান কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন এসব বহিষ্কৃতরা আমাদের দলের কেউ না, তারা ব্যানার ফেস্টুন করে দলকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে তারা আওয়ামী লীগের দোসর। এদের বিরুদ্ধে আইনীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে আওয়াল সরকার বলেন যখন আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন?বাংলাদেশে ছিলেন? আমাকে দল বলেছে তাই আমি করেছি!আমি আপনাকে মোবাইলে ফোনে কিছু বলতে চাই না, কিছু জানার থাকলে সরাসরি আমার কাছে আসে।
এদিকে এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সভাপতি, শওকত হোসেন সরকার , বলেন,বহিষ্কৃত নেতা তারা দলের কেউ না, আমাদেরও কেউ না,তারা দলের বর্তমান সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা কিছুই করতে পারে না।আমরা তাদের বিরুদ্ধে মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিব এবং তাদেরকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে দিয়েছি বেনার/ফেস্টুন এগুলোর নামিয়ে নেওয়ার জন্য।
Discussion about this post