নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমিতে অবস্থিত সব অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, ঢাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন বিভাগ), বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগ (বিভাগীয় বন কর্মকর্তা) ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. কাওসার হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. কাওসার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৮৬ একর। জবরদখলকারীরা বন উজার করে সেখানে কল-কারখানা, দোকানপাট, রিসোর্ট/কটেজ, করাত কল, ঘরবাড়িসহ নানা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। ফলে এখানকার জীববৈচিত্র্য বিলীন হয়ে যাচ্ছে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখলকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষার জন্য জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় (রিট পিটিশন নং-৯০৪৯/২৩)। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রিট পিটিশনারের দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী কাওসার হোসেন আরও বলেন, হাইকোর্টের এমন আদেশের ফলে সংরক্ষিত বনভূমিতে জবরদখলকারীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং সংরক্ষিত ভূমির বন উজার বন্ধ হবে, যা পরিবেশ ও জলবায়ুর ইতিবাচক পরিবর্তন এনে মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে। তিনি এমন আদেশের জন্য উচ্চ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত