নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা) হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তথা স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ‘অননুমোদিত ভবনে পরিচালিত, দূষণকারী হাসপাতাল ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের বেআইনি লাইসেন্স প্রত্যাহার ও বন্ধের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মহানগরের নাওভাঙ্গা সড়কের নিজস্ব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি ফিডাক মুকুল বিশ্বাস এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন সাধারণ সম্মাাদক মো. মেহেদী হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন সবুজ, দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রুবেল, সদস্য এনামুল হক প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন প্রায় শতভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রত্যাশীগণ উপযুক্ত মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু তারা অনঅনোমদিত ভবনের কারনে তারা সেই সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভিন্ন তথ্য মতে, গাজীপুর জেলায় ২৮৬ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ১৭৪ টি হাসপাতাল/ক্লিনিক সহ মোট ৪৬৪ টি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন রয়েছে; তার মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে ২৬৬ টি প্রতিষ্ঠানের। এছাড়াও জেলায় নিবন্ধন বিহীন আরও বেশ কিছু স্বাস্থ্য প্রসবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গাজীপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের দাবি, যে সকল প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স সহ অন্যান্য লাইসেন্স রয়েছে। ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গাজীপুর অঞ্চল’ তথা ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র তথ্যমতে, গাজীপুরে চলমান বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবহৃত কোনো ভবনের ‘ব্যবহারের অনুমোদন’নেই!
তিনি আরো বলেন, গাজীপুর জেলায় পরিচালিত প্রায় শতভাগ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা বজর্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিধি মোতাবেক ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) এবং এসটিপি (স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) নেই। সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবন ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ভবন হিসেবে গড়ে ওঠেনি এবং ব্যবহারের অনুমোদন নেই, সে সকল প্রতিষ্ঠানে রোগীদের সেবা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত আবাসন নেই। বিধি মোতাবেক চিকিৎসা বজর্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা নেই, সে সকল প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বজর্য দ্বারা ঐ প্রতিষ্ঠানে আগত রোগী, কর্মরত সকলে দূষণের স্বীকার হওয়ার পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এসকল কারণেই রোগীদের স্বীকার হতে হয় অপচিকিৎসার, অনেক সময় হারাতে হয় প্রাণ!
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সর্বমহল কর্তৃক উৎসাহিত করা। বেআইনি সকল লাইসেন্স প্রত্যাহার পূর্বক স্বাস্থ্য সেবার নামে অসাধু ব্যবসায়ীদের পরিচালিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের দাবিসহ বেআইনি লাইসেন্স প্রদানের সাথে জড়িত সকল সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
Discussion about this post