নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম পলাশোনার মানুষ এক সময় ছিলেন অবহেলিত। ‘নীড়’ নামে একটি কোম্পানী অত্র এলাকায় জমি কিনার পর এখন মানুষের জীবন যাত্রার মান পাল্টে গেছে। কোম্পানীটিকে এলাকাবাসী তাদের জন্য আর্শিবাদ স্বরূপ মনে করছেন।
জানা গেছে, আইটি ইউনিভার্সিটি করার জন্য বিগত ২০০৯ সালে কোম্পানীটি গাজীপুর মহানগরীর প্রত্যন্ত পলাশোনা মৌজায় প্রধানসড়কের পাশে একখন্ড টিলা জমি ক্রয় করে। ওই গ্রামের পাশ দিয়েই প্রবাহিত তুরাগ নদী। নদীর পশ্চিম পাড়ে আশুলিয়া থানার বিস্তৃত নিম্মাঞ্চল। পলাশোনা ও আশপাশের এলাকার অধিকাংশ মানুষ পেশায় কৃষক ও মৎস্যজীবী। কোম্পানীটি এলাকায় আসার আগে খুব কষ্টে দিন কাটতো তাদের। রাস্তাঘাট বলতে যা ছিলো, তা শুধু পায়ে হাঁটার জন্য। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎও ছিলো না। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব ভোগ করতেন গ্রামবাসী। সরকারি উদ্যোগে স্থাপিত পুরো গ্রামের জন্য একটি টিউবওয়েলই ছিলো তাদের সম্ভবল। কোম্পানীটি বেশ কয়েকটি গভীর নলকুপ স্থাপন করায় এখন আর বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব নেই এলাকাবাসীর। রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে।
পলাশোনার আদি বাসিন্দা শ্রী চন্দ্র সরকার বলেন, আমার নিজের কোন আবাদি জমি নেই। বর্গা চাষ করে বহু কষ্টে সংসার চালাতাম। জমির মালিককে অর্ধেক ফসল দিয়ে দিতে হতো। এখন নীড় কোম্পানীর জমি চাষ করি। কোম্পানীর মালিক এক মুৃঠো ধানও আমার কাছ থেকে নেন না। পুরো ফসলই আমি ভোগ করি। আমার মত আরো অনেকেই ওই কোম্পানীর জমি আবাদ করে এখন স্বাবলম্ভী। পলাশোনার অপর কৃষক আব্দুজ জব্বার বলেন, নীড় কোম্পানী অত্র এলাকায় প্রায় আড়াইশ’ বিঘা জমি ক্রয় করেছে। কিন্তু ৩০ বিঘার মত জমি শুধু কোম্পানীর কাজে লাগে। বাকি সব জমি চাষ করে এলাকার প্রান্তির কৃষকদের সংসার চলে। কোম্পানীর মালিক বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে এক মণ ধানও নেন না। এমনকি এলাকাবাসী কোম্পানীর ডাঙ্গায় মাছ শিকার করে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মিটায়। কোম্পানীর মালিক ডাঙ্গা থেকে এক কেজি মাছও নেন না।
এদিকে কোম্পানীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আব্দুর রব জানান, পলাশোনা-গাছা-বড়বাড়ি সড়কের পাশে ক্রয়কৃত টিলাজমিতে আইটি ইউটিভার্সিটি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের কোম্পানীর। আর বাকি সব জমিতে কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন খামার গড়ে তুলা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত