নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় দিনমজুরদের মধ্যে পাটের আঁশ ছাড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে সমাজসেবক মো: মঞ্জুর আলম মঞ্জু’র ব্যাক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামে এই আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতার আয়োজক মঞ্জুর আলম মঞ্জু বলেন, সত্যি বলতে গ্রাম-গঞ্জ থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতা দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। যেসকল মানুষেরা ক্ষেতে খামারে কাজ করেন তাদের নিয়ে গ্রামে কোন ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়না কখনোই। একটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে বিনোদণ দেয়াটাই ছিলো আমার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাই মাথায় চিন্তা এলো একটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাটেঁর আঁশ ছাড়াবো।
তিনি জানান, প্রতিবছর পাটের মৌসুমে দিনমজুরদের মুখে মুখে শোনা যায় ওই গ্রামের অমুক সবচেয়ে বেশি পাট ধুতে পারে। সেই বিষয়টি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই আয়োজন করা। প্রকৃতপক্ষেই কে সবচেয়ে বেশি পাট ধুতে পারে সেটি দেখা এবং কৃষকদের সামান্য বিনোদন দেওয়া।
তিনি আরো জানান, এই প্রতিযোগিতায় ২টি দল অংশ গ্রহণ করে। একটি হলো: সিংগুয়া পশ্চিম পাড়া একাদশ ও ঘাগটিয়া একাদশ। দুই দলে মোট ২২ জন দিন মজুর অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার কথা আশপাশের এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এই প্রতিযোগিতার কথা লোকমুখে প্রচার করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার ছিলো ২৪ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন ও রানার্সআপ পুরষ্কার ছিলো ১৪ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন।
প্রথমে সকল প্রতিযোগিদের সকালের নাস্তা খাওয়ানো হয়। তারপর প্রতিযোগীদের নির্দিষ্ট সময় ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বেধেঁ দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘাগটিয়া একাদশ পাটের ১৩ আঁটি বেশি আঁশ ছাড়িয়ে বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয় সিংগুয়া পশ্চিম পাড়া একাদশ। পরে প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতা দেখতে আসা সুজন ভূঁইয়া বলেন, ব্যতিক্রম এই আয়োজনটা ছিলো সত্যিই প্রশংসনীয় ও দেখার মতো। কারণ বানার নদীতে এই প্রতিযোগীতা দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। এরকম একটি আয়োজনের জন্য আয়োজককে তিনি ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার বসাক বলেন, কৃষিপ্রধান দেশে ফসল চাষের ক্ষেত্রে দিনমজুররা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জন্য আসলে কেউ কোন কিছু করেনা। এই রকম ব্যতিক্রম আয়োজনে তারা কাজের প্রতি আগ্রহী হবেন।
####
সবুজ/গাজীপুর/১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত