নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত মহা-সড়কে ব্যপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অন্তত ১২ টি উত্তরাঞ্চলের রুটের চলাচলরত এম্বুলেন্স, যাত্রী ও পরিবহন চালকরা, আর একটু বৃষ্টি হলে যেন এ ভোগান্তির অন্ত নেই।
১২ কিলোমিটারের এই সড়কটির উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে কয়েক বছর যাবৎ, আর এ দীর্ঘ সময়ের উন্নয়ন কাজের ফলে, সড়কটির টঙ্গী থেকে ২৭ বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত খানা খন্দে ভরা। এ দিকে বাসন সড়ক হতে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সরকটির একপাশ বন্ধ রয়েছে এটিও দীর্ঘদিন যাবৎ, জার ফলে কয়েক বছর যাবৎ দীর্ঘ যানজটে পরতে হচ্ছে এ সড়ক ব্যবহার কারি যাত্রী ও পরিবহন চালকদের।
সুধু যানজট ভোগন্তিই নয়, এ সড়কের দুইপাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থার হয়েছে চরম অবনতি, কোন প্রকার সংস্কার না থাকায় ড্রেনেজ গুলো ময়লায় জ্যাম হয়ে যাওয়ায়, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে হাটু পানি, ছোট গড়ি গুলো চলাচলে নানা ভোগান্তিতে পরতে হয়। পানি জমে থাকায় সড়কে খানা খন্দ দেখা যায়না, যার ফলে অনেক সময় ঘটে নানা দূর্ঘটনাও।
বৃহস্পবিার দুপুর থেকে মাঝারি আকারে বৃষ্টি হওয়ায়, সন্ধা থেকেই চান্দনা চৌরাস্তা থেকে বোর্ডবাজার, ২৭ থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রচন্ড জ্যামে পরতে হয়, এ সড়ক ব্যবহার কারিদের। সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, সিএনজি, ইজিবাইক, প্রাইভেটকারে পানি ঢুকায়, গাড়ির ইন্জিন বন্ধ হয়ে পরে আছে।
বিশেষ করে ভোগড়া বাইপাস এলাকায় মহা-সড়কে পানি জমায় তিব্র জ্যামে আটকে যায় এ সড়ক ব্যবহার কারি পরিবহন ও যাত্রীরা , এ সময় কিছু রুগী বহন কারি এম্বুলেন্সও দেখা যায় জ্যামে আটকে আছে।
ভোগড়া এলাকায় মহা-সড়কে ডিউটিরত একজন ট্রাফিক পুলিশ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, সড়কে পানি জমার একমাত্র কারন সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, সড়কে পানি জমলে পরিবহন জ্যামতো হবেই, তার উপর আবার সড়ক জুড়ে খানা খন্দে ভরা।
এ অঞ্চলের সাধারন নাগরিক দের দাবি সড়কের দুই পাশে যেন ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ করা হয়, এবং সড়কের খানা খন্দের রিপিয়ারিং ব্যবস্থা করা হোক। ভোগড়া এলাকায় বসবাসরত মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উন্নয়ন কাজ না হলে দেশের উন্নয়ন হবেনা, কিন্তু সে উন্নয়ন কাজের ফলে জন দূর্ভোগ হলে চলবেনা, উন্নয়ন কাজের পাশা পাশি সাধারন দের চলাচলের রাস্তা, এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হোক।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত