নিজস্ব প্রতিবেদক: মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে আমরা কোনো রাজা-রানির রাজত্বে বাস করি না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই গণতন্ত্রই আজ দেশে অনুপস্থিত।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম মিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে দলটি।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি তারা।
তিনি বলেন, সরকার কথায় কথায় বলে, খালেদা জিয়াকে দয়া দেখিয়ে বাসায় রেখেছি। আমরা দয়া চাইনি, জাস্টিস চেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি, প্রাপ্যটা চেয়েছি।
মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেটি বসবাসের উপযোগী ছিল না। তিনি ওই সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় ডাক্তাররা একাধিকবার গণমাধ্যমে বলেছেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে করোনা শুরু হয়ে গেলে বাসায় পাঠিয়ে দেয় সরকার।
তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারো দয়া চাননি। তাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার কথা বলছেন। কিন্তু সরকার তাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
Discussion about this post