নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার পশ্চিম কলমেশ্বরের ডাক্তার আতাউর এখন অনেকটাই লোক চক্ষুর অন্তরালে।
সংবাদকর্মীরা অধিক তথ্য সংগ্রহের জন্য তার বাসায় গিয়ে দেখেন তার বাসার প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং প্রতিবেশীরা জানায়,তিনি এখন আর বাসায় চেম্বার করেন না।তার বি’রুদ্ধে ভুয়া ডাক্তার সংবাদ প্রকাশের পর আগের টানানো ভুয়া ডিগ্রী সম্বলিত নেমপ্লেট নামিয়ে ফেলা হয় এবং তড়িঘড়ি করে দেওয়াল লিখন মোছে সেখানে রাতের আঁধারে নতুন করে রং করা হয়।
অথচ দুদিন পূর্বেও নেমপ্লেট এবং দেয়ালে লেখা ছিল ডাক্তার মোঃ আতাউর রহমান ইনচার্জ ও বিভাগীয় প্রধান মেডিসিন বিভাগ, মিরপুর সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল যদিও তিনি নিজেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন দেশের কোন মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি ডাক্তারি পাস করেননি।
ভুয়া ডাক্তার আতাউরের দুর্নী’তির এখানেই শেষ নয়,নিজের নামের সাথে ডাক্তার নামক তকমা লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে রোগ নিয়ে যেমন করেছেন প্রতারণা তেমনি জালিয়াতি করে সরকারি হাসপাতাল থেকে ঔষধ এনে সেগুলো বিক্রি করি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
সরেজমিনে তার বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,মিরপুরে রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট ও গাজীপুরের কমলেশ্বর এলাকায় রয়েছে একটা বাড়ি ও একদিক প্লট।তার ভুয়া ডাক্তারি পেশাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এবং সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণাকে আরো বেগবান করার জন্য মেধা না থাকা সত্ত্বেও টাকার জোরে দুই ছেলেকে পড়িয়েছেন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে।
তার এত আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান,চাকুরীর পাশাপাশি আমি জমির ব্যবসা করি,সেখান থেকে আমি কিছু আয় করি। অথচ তিনি মিরপুর সরকারি হোমিওপ্যাথিক কলেজে একজন স্টাফ হিসেবে সামান্য বেতনে চাকরি করেন।
সহায় সম্বলহীন আতাউর রংপুর থেকে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে আসেন অনেকটাই শূন্য হাতে।সেখানে ছোটখাটো বাড়ি করে কোনরকমে থাকা শুরু করেন।এলাকার প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে হঠাৎ করেই কোটিপতি বলে যান তিনি।খোলস পাল্টিয়ে জমির ভুয়া দালাল থেকে হয়ে যান ভুয়া ডাক্তার।এলাকার সাধারণ মানুষের সামনে তিনি একজন পরহেজগার ও সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে জাহির করছেন।অথচ সাধারণ মানুষের সাথে দিনের পর দিন প্রতারণা করে চলেছেন এই প্রতারক।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন,হঠাৎ করে সে কোথায় পেলে এত টাকা।কোটি কোটি টাকার বাড়িও ফ্ল্যাট,ছেলেদের পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়।তার এই টাকার উৎস কোথায়?দুর্নীতি দমন কমিশন ও ইনকাম ট্যাক্স এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংশ্লিষ্ট মহল।
Discussion about this post