দেলোয়ার হোসেন পাঁচবিবি জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে সবাই ছুটছে স্বজনদের বাড়িতে। কেউ যাচ্ছে মোটরসাইকেলে, কেউ যাচ্ছে অটোতে। এর মধ্যে শ্বশুর বাড়ি ও নিকট আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি। সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটো ও অটো-বাইকের ছড়াছাড়ি। ঈদের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) পাঁচবিবির বিভিন্ন সড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন বিকেলে পাঁচবিবি পাঁচমাথা মোড়ে কথা হয় মো. সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচবিবি থেকে অটো-বাইক নিয়ে বিরামপুরে সপরিবারে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি। প্রতিবছর ঈদের পরদিন যাই। তাই এবারও যাচ্ছি। সঙ্গে স্ত্রী, সন্তান ও ছোট বোন আছে। পাঁচবিবি রাখি সুইটস থেকে মিষ্টি নেবো। তাই বাজারের ভেতরে যাচ্ছি।’
সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা অটো ভাড়া নিয়ে যাচ্ছি। দুই-একদিন থাকবো। তাই সন্ধ্যার আগেই যেতে হবে। যেন অটোচালক আবার পাঁচবিবিতে ফিরতে পারেন।’আরেকজন মো. জনি সরকার। চাকরি করেন একটি সরকারি অফিসে। তিনি বলেন, ‘গেলো বছর বিয়ে করেছি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে। তাই বাইকে করে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি। পাঁচ মাথায় দাঁড়ালাম একটু চা খওয়ার জন্য। চা খাওয়া শেষ হলে আবার রওনা দেবো। এবার ঈদে একটু লম্বা ছুটি পেয়েছি। ইচ্ছে আছে কয়েকদিন থাকবো শ্বশুর বাড়িতে। পাশাপাশি অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়ানোরও ইচ্ছে আছে।’
পাঁচবিবি বাজারে মিষ্টি দোকানদার শ্রী সঞ্জিত মহন্ত বলেন, ‘বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে যারা পাঁচবিবির ওপর দিয়ে আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যান, তারা আমার দোকান থেকে মিষ্টি, রসমালাইসহ অন্যান্য মিষ্টান্ন কেনেন।’
শ্রী সঞ্জিত মহন্ত আরও বলেন, ‘ঈদে ও পূজায় ভালোই বিক্রি হয়। এবারও বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে সমস্যা হলো, ঈদে কর্মচারীদের ছুটি দিতে হয়। তবে, দুই-একজন কর্মচারী থাকে। তাতেও দোকান চালাতে খুব বেগ পেতে হয়।
Discussion about this post