নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল ১০ টায় পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় নিজ মেয়েকে কুপিয়ে হ’ত্যা করেছেন বাবা।
নিহতের নাম স্মৃতি আক্তার (৩৫)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া গ্রামের সারফুদ্দিনের (৬০) মেয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উ’দ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সারফুদ্দিন ৪টি বিয়ে করেছেন। নি’হত স্মৃতি আক্তার তার প্রথম সংসারের মেয়ে। সারফুদ্দিন তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিলেও স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে সারফুদ্দিনের বাড়িতেই থাকেন। আর সারফুদ্দিন তার এক ভাই রেফাজউদ্দিনের বাড়িতে থাকেন।
সকালে স্মৃতি আক্তার তার মাকে নিয়ে রেফাজউদ্দিনের বাড়ির পাশে গাছ থেকে কাঁঠাল সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে সারফুদ্দিন যান। পরে তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে সারফুদ্দিন তার হাতের দা দিয়ে স্মৃতি আক্তারকে এলোপাথাড়ি ৪-৫টি কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে সারফুদ্দিন তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এলাকাবাসী জানায়, স্মৃতি আক্তার বিবাহিত। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। স্মৃতির ২টি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। শ্বশুরবাড়ি কালীগঞ্জের ডুবুদিয়ায়। গত ঈদে তিনি মায়ের কাছে বেড়াতে আসেন।
ধরপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য আতিকুল ইসলাম জানান, বাড়ির পাশে ধরপাড়া উত্তর পাড়া জামে মসজিদের পাশে কাঁঠাল বাগানে এ ঘটনা ঘটে। নি’হতের বাবা তার মেয়ের এক হাত কেটে ফেলেছেন। গলার অর্ধেক কেটে ফেলেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া জানান, পারিবারিক কলহের কারণে বাবা তার মেয়েকে কু’পিয়ে হত্যা করেছেন। ঘাতক বাবা ৪টি বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে বাবা পলাতক। মরদেহ উ’দ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post