
নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন মোল্লা মার্কেট এলাকায় সুদের টাকার জন্য সহোদরকে মারধর ও ভাবীকে শ্লীলতাহানীার অভিযোগ পাওয়া গেছে দেবরের বিরুদ্ধে। ৭ লাখ টাকা সুদে লাগিয়ে সুদাসলে ৯ লাখ টাকা নেয়ার পরও আরো ৭ লাখ টাকা দাবি দেবরের। সুদের টাকা দিতে কালক্ষেপনের জেরে দেবর কর্তৃক ভাবী শ্লীলতাহী ও মারধরে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই গাছা থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ২৮ আগস্ট স্থানীয় মধ্য খাইলকুর মোল্ল্যা মার্কেটে।
শ্লীলতাহানীর শিকার আলেয়া বেগম জানান, ব্যাংকে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির গচ্ছিত টাকা দেবর শাহজালাল সুদে পরিচালনা করেন। বিগত ২০১০ সালে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির ব্যাংক একাউন্ট থেকে শাহ জালালের মাধ্যমে সুদে ৭ লাখ টাকা নিয়ে তার স্বামী জয়নাল আবেদীন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। প্রতি মাসে তারা সুদ হিসেবে ৭ হাজার টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। মূল ৭ লাখ টাকার ওপর এ পর্যন্ত তারা মোট ৯ লাখ টাকা সুদ দিয়েছেন। বর্তমানে তার দেবর শাহ জালাল মূল ৭ লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তারা জমি বিক্রি করে এ টাকা পরিশোধের চেষ্টা করছেন।
এরই মধ্যে গত ২৮ আগস্ট মূল ৭ লাখ টাকার জন্য চাপ দিলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহ জালাল বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আলেয়াকে টেনে হেঁচড়ে ও কিল, ঘুষি, লাথি দিয়ে নিচে ফেলে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায় ও তোরে আজ মাইরা ফালামু বলিয়া ইট দিয়ে মাথায় সজোরে হত্যার উদ্দ্যেশে আঘাত করে। এছাড়া তার স্বামী জয়নাল আবেদীন উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও মেরে আহত করে।
অভিযুক্ত শাহ জালাল বলেন, টাকা নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উনিও ইট লইছে আমিও ইট লইছি। উনার সেলাই লাগছে, আমার সেলাই লাগে নাই।
এবিষয়ে গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ভিকটিমের ভাই আল আমিন থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post