
সাব্বির হোসেন,টাংগাইল প্রতিনিধি: মির্জাপুরের আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া এলাকায় শিশু ধ’র্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ফিরুজ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ধ’র্ষণের ঘটনার ২৭ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামি ধ’র্ষণ মামলার মূল আসামি বলে জানা যায়।
শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকা থেকে ধ’র্ষক ফিরুজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
মির্জাপুর থানা পুলিশ জানায়, এর আগে ঘটনার ধামাচাপা দিতে বিচারে সহযোগিতা ও ধর্ষক ফিরুজ মিয়াকে পালাতে সহযোগিতা করায় ধর্ষক ফিরুজ মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনকে গ্রেফতার করেও জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে থানা পুলিশ।এই ঘটনায় এ নিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।মামলার প্রধান আসামি ও ধ’র্ষক ফিরুজ মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন বলে জানা যায়।পরে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হলে টাঙ্গাইল কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন ৩ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ দিন আগে ধ’র্ষণ করা হয় ১০ বছর বয়সের এক শিশুকে।বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বররা ১৭-১৮ দিন পর ঘরোয়াভাবে বসে বাকীতে মীমাংসা করেন বলে জানা যায়।পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এলাকার মাতাব্বররা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে মামলা করতে না দিলেও সর্বশেষ মাতাব্বরদের নামে সহ মামলা হয়েছে।
এমন ন্যাক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া এলাকায়।ধ’র্ষক ওই এলাকার মৃত নওসের আলী ওরফে রশিদ মিয়ার ছেলে ফিরুজ মিয়া (৪৫)।বিষয়টি মাতাব্বররা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেও তারা সফল হয়নি।পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে যে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন তারা।বিচারহীনতায় ভুগছে শিশুটির পরিবার।”মির্জাপুরে ধ’র্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা” এমন শিরোনামে প্রথমে “বার্তা সংবাদ” নামে একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় থানা পুলিশ।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত দিয়ে বলেন,গ্রেফতার শেষে আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে জেলহাজতে পাঠানো হলে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।বাকী আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Discussion about this post