আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরো: আসন্ন ২৯ মে (বুধবার) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ঘোড়া মার্কা প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
২৬ মে (রবিবার) সকাল ১০টায় মোহনপুর বাজারস্থ শাহ আলম মার্কেটে ঘোড়া প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সুলতান আলী, মোহাম্মদ আলী, দুলাল, সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন আলী, সুরজিৎ সরকার, বেলাল হোসেন সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, মিলন, বিশিষ্ঠ ব্যবসী আবুল হোসেন, মোতুজা হোসেন, আশরাফুল আলম, মজিবুর রহমান মাষ্টার সহ আরো অনেকে।
এ সময় তিনি নিজেকে রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান আসাদ এর আস্থাভজন বলে দাবি করে ইশতেহারে উল্লেখ করেন, মোহনপুর উপজেলা অপরূপ সৌন্দর্য্য এবং পানের জনপদ । মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এ অঞ্চলের মানুষের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। উন্নয়ন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, কৃষি, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সহ অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে মোহনপুর। তাই সবদিক থেকে মোহনপুর উপজেলাকে একটি সমৃদ্ধশালী, স্মার্ট, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়-পরায়ন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এনামুল হক এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, আলেম-উলামা, যুব ও তরুণ সমাজ সহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে আগামি বুধবার (২৯ মে) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।
আপনাদের মহামূল্যবান ভোটে আমি নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে- উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলোর সংস্কার ও টেকসই পাকাকরণ, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের সকল বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বন্টন ও নাগরিক সুবিধাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট এবং নান্দনিক উপজেলা গড়ে তোলা হবে। সকল শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের সমন্বয়ে একটি উন্নত ও মডেল উপজেলায় রূপান্তর করা হবে। কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাজশাহী কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সেলে যোগাযোগ পূর্বক কেশরহাট পর্যন্ত পরিবহন ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করছি। অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী, মেধাবী ও দুস্থ্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্যে-শিক্ষা ট্রাস্ট গঠন সহ ইউনিয়ন ভিত্তিক ত্রৈমাসিক সভা করে সমস্যা চিহ্নিত করে সকলের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গুরুত্বপুর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করা হবে এবং শতভাগ আধুনিকায়ন, বিশুদ্ধ পানি ও
নিরাপদ স্যানিটেশনের আওতাভুক্ত করা হবে। নতুন প্রজন্মকে মেধাবী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ কলেজগুলোর লেখাপড়ার মান-বৃদ্ধি সহ প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এক্ষেত্রে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী
হিসেবে দলমতের উর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি। ইশতেহারে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক আরো উল্লেখ করেন, মোহনপুরের একজন নাগরিক হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সব-সময় মোহনপুরের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সব-সময় এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং মোহনপুরে সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করেছি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে পূরণ করা সম্ভব। এ জন্য উপজেলা আপনাদেরকে ঘোড়া মার্কা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহব্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনী মাঠের পরিবেশ কেমন আছে? কোন বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে কিনা? সাংবাদিকদের এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোহনপুর একটি শান্তির জনপদ। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে মাঠে ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে ছোটখাটো সমস্যা ব্যতীত বড় ধরনের কোনো বিশৃংখলা দেখা দেয়নি। আর বড় ধরনের কোন বিশৃঙ্খলা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।
প্রসজ্ঞত চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক ১৯৬৩ সালে সালের ১১ই নভেম্বর মোহনপুর উপজেলার ৫ নং বাকশিমইল ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা জহির উদ্দীন মোল্লা ও মাতা আঙ্গুর বেগম ৫ ছেলে ও ৭ মেয়ের মধ্যে এনামুল হক দ্বিতীয়। এনামুল হক ছোট থেকেই দূরন্ত ও মেধাবী। এনামুল হক অন্যের বিপদে-আপদে সর্বদাই পাশে থাকতেন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে থাকেন অগ্রভাগে। এভাবেই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন জনতার সেবক। তিনি মোহনপুর পাইলচ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি কম সম্মান এবং এম কম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা হিসাবে অবসব গ্রহণ করেছেন।
Discussion about this post