দেলোয়ার হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি: চলতি মাসের ২১শে মে দ্বিতীয় ধাপে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এক নারী প্রার্থীসহ মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাঁর মধ্যে পাঁচজনই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অপরদিকে সাবেকুন নাহার শিখা (ঘোড়া) প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
তবে, এ নির্বাচনে সাবেকুন নাহার শিখা নিজেকে বিএনপির প্রার্থী পরিচয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির পক্ষে থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। (১৫ মে) বুধবার জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র আহবায়ক গোলজার হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধানের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী (২১ মে) পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (ঘোড়া) প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে সাবেকুন নাহার শিখা ভোটের প্রচারণায় নিজেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন এবং ভোটের প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সাবেকুন নাহার শিখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কোন সদস্য নয় এবং বিএনপির রাজনীতির সাথে অতীতে কোন সংপৃক্ততা ছিলনা, বর্তমানেও নেই। সুতরাং পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যদি কোন নেতা সংপৃক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বর্জনের আহবান জানানো হয়।
পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেকুন নাহার শিখা ছাড়াও আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ মুন্না (মোটরসাইকেল) প্রতীক, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল আলম বেনু (কৈ মাছ) প্রতীক, পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক মন্ডল (আনারস) প্রতীক, বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল (দোয়াত কলম) প্রতীক ও পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক সুমন চৌধুরী ( টেলিফোন) প্রতীকে।
জয়পুরহাট জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে সাবেকুন নাহার শিখা’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post