নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাঘায় তছির উদ্দিন নামের এক পল্লী পশু চিকিৎসক তার নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়া গৃ’হবধূ কে জোরপূ’র্বক ধ’র্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে উপজেলার গাঁওপাড়া এলাকার বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেন সংলগ্ন তছির উদ্দিনের নবনির্মিত দোতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ছয় মাস আগে এ বাড়িটি ভাড়া নেয় ওই গৃ’হবধূর স্বামী রবিউল ইসলাম। সেখানে বর্তমানে ওই গৃ’হবধূর মা ও ৫ মাস বয়সী কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। কাজের তাগিদে ঢাকায় থাকেন রবিউল ইসলাম। মাঝে মাঝে আসেন ভাড়া বাসায়। স্বামী না থাকায় সুযোগ গ্রহন করেন পল্লী পশু চিকিৎসক তছির উদ্দিন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃ’হবধূ জানান, তছির উদ্দিনের বাড়িতে উঠার পর থেকে আমার দিকে কুদৃ’ষ্টি দিতেন তছির। বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে এবং সামনাসামনি কুপ্র’স্তাব দেয়। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অযুহাতে বাড়িতে আসে তছির। আমি তার প্র’স্তাবে রাজি না হওয়ায় গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে হঠাৎই দরজায় কড়ানাড়ে তছির। দরজা খুলতেই জোরপূ’র্বক বাড়িতে প্রবেশ করে আমার সাথে ধ’স্তাধ’স্তি শুরু করে। ধ’স্তাধ’স্তির এক পর্যায়ে আমার পরনে থাকা জামা কাপড় ছিড়ে যায়।আমাকে জোরপূ’র্বক আমার সয়ন কক্ষের সামনের আরেকটি ফাঁকা ঘরে নেয়। আমি তাকে কৌশলে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে রেখে মা কে সাথে নিয়ে থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ দিই। পরে বাঘা থানা পুলিশের এসআই আব্দুল মজিদ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। থানায় বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা করতে চাইলে ওই এসআই আমাকে বাড়াবাড়ি করলে আসামি করে চালান দিবেন মর্মে হুমকি দেয় এবং মামলা না করার শর্তে ৫ হাজার টাকা দিতে চায়। তবে তিনি ওই এসআই এর দেওয়া হুমকি উপেক্ষা করে আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান।
কথা বললে এস আই মজিদ অভিযোগ স’ম্পূর্ণ অ’স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা ছিলো। তাই আমরা সেখান থেকে চলে আসি। টাকা পয়সার কোনো বিষয় সেখানে ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি স’ম্পর্কে আমি অবগত নই। এ বিষয়ে জেনে আমি পরে জানাবো। এছাড়াও আপনারা ত’দন্ত ওসির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
উল্লেখ্য, পূর্বেও ওই পল্লী পশু চিকিৎসক তছির উদ্দিনের অনেকের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো বলে জানা যায়। এ বিষয়ে তছিরের কাছে জানতে চাইলে সে তালবাহানা করে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
Discussion about this post