নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার মিরের বাজার চৌরাস্তায় ঢাকা বাইপাস হাইওয়ের ফ্লাইওভারের রাস্তা দখল করে অবৈধ অটোরিকশা, লেগুনা, সিএনজি, ওয়াগন,ভাঙাচোরা লক্কর-যক্কর প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড করায় টঙ্গী- ঘোড়াশাল হাইওয়ে ও ঢাকা বাইপাসের নীচের অংশ লাগাতার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ঈদ যাত্রা ও দৈনন্দিন কাজে শুধু মাত্র মিরের বাজার চৌরাস্তায় নষ্ট হয় দিনের বড় একটা কর্ম ঘন্টা। তাছাড়া অনেকে বলছেন মিরের বাজার রেল গেইটও যানজটের অন্যতম কারণ।দিনে ৪০-৫০টি ট্রেন যাওয়া আসা করায় রেল গেইট প্রায়শই বন্ধ থাকে। অন্যদিকে অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ডগুলোর বিরুদ্ধে উঠেছে ব্যপক চাঁদাবাজির অভিযোগ। এমনটি জানিয়েছেন কিছু সংখ্যক গাড়ি চালক। তবে গুঞ্জন রয়েছে চাঁদাবাজরা এলাকার প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না কেউ-ই। অনেকের প্রশ্ন লাখ লাখ চাঁদাবাজির টাকা কোথায় যায়?তা খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে।
যানজটের বিষয়ে পূবাইল মেট্রো থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জানান, যানজট ও অবৈধ স্ট্যান্ডের বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগের সাথে একত্রে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা ব্যাপক অবৈধ গাড়ি, মোটরযান,ইজিবাইক ,লেগুনা ফ্লাইওভারের নীচে রাস্তায় জায়গা দখল করে পার্কিং করায় তিল পরিমাণ জায়গা মিলছিলনা।
ঘটনাস্থলে গেলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক, কয়েকজন লেগুনা ও অটোরিকশা চালক জানান, এখানে দুই প্রকার চাঁদা দিতে হয় তাদের।আর চৌরাস্তার দক্ষিণ ও উত্তর পাশ দুটি বা তিনটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করে। চাদাঁবাজি চলে গন্তব্যের উভয় প্রান্তে।আর প্রত্যেকগ্রুপের আছে টাকা উঠানো আলাদা আলাদা লাইনম্যান যারা দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে টাকা উঠিয়ে দেয়। এই রুটে নিয়মিত চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রী ও প্রাইভেট কার চালক জানান, আমরা সরকারকে কর দিয়ে অটো লেগুনা অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম্যে ৩০ মিনিটের রাস্তা তিন ঘন্টায়ও পার হতে পারছিনা।
Discussion about this post