নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এমনিতেই সবার কাছে পরিচিত একটি স্থান। পূবাইল মেট্রোপলিটন থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ডের অন্তভূক্ত টঙ্গী শিল্প নগরীর ঠিক উত্তর পাশের একটি জনপদ।যেখানকার মাটি ও মানুষ যার অবদানে গর্বিত ও সুপরিচিতি পেয়েছে সারা বাংলাদেশে।
সেই শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের গ্রাম ও জন্মস্থান পূবাইলের হায়দরাবাদ। যিনি দু দুবার পূবাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও দু’দুবার গাজীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তারই উত্তরসূরি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল উদ্বোধন করলেন কুয়েত প্রবাসি উদ্যোক্তার একটি ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানের ৫ টি প্রতিষ্ঠান নিজ এলাকা হায়দরাবাদ গ্রামে। গেল সপ্তাহে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে
এক সাথে উদ্বোধন করলেন ৫টি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে জয়নাল আবেদিন ডেইরি ফার্ম, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,মাদরাসা, মসজিদ, মৎস খামার।
জাহিদ আহসান রাসেল জানান, দেশে উদ্যোক্তা বাড়ুক ও কর্মসংস্থান তৈরি হউক এটা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনারই পরিকল্পনার অংশ।রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা উদ্যোক্তা হিসাবে দেশে ইনভেস্ট করুক এটাকে সাধুবাদ জানাই।পাশাপাশি তাদের সহযোগীতা করতে শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকরাবদ্ধ।
জানা যায় কুয়েত প্রবাসি জয়নাল আবেদিন ১৯৮১ সালে ওয়েল্ডার পদে একজন সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েতে গিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার মুসাপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বর্ত্তমান ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় বসবাস করেন।উনার ইচ্ছা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়া।তার দেশপ্রেম থেকেই নাকী নিজ দেশে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
কুয়েত প্রবাসি জয়নাল আবেদিন যুগান্তরকে জানান ১০ বিঘা জমির উপর থাকছে বহুমুখী প্রকল্প।যেখানে গড়ে তুলেছি মসজিদ, মাদরাসা, গরুর খামার, মৎস খামার, মুরগীর খামার ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি আরও জানান এখান থেকে শিক্ষা গ্রহন শেষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কেউ বেকার থাকবেনা। গরুর দুধ, মুরগীর ডিম দিয়ে ফাস্ট ফুডের কারখানা করা হবে। বাইরে ডিম গরুর দুধ বিক্রি করা হবেনা। মুরগী ও গরুর উচ্ছিষ্ট দিয়ে বায়ু গ্যাস প্লান্ট তৈরি করে এলাকার গ্যাসের চাহিদা মেটানো হবে। সৌর বিদ্যুৎ চালু করেছি। সবই চলবে সৌর বিদ্যুতে।এতে সরকারি বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে।তাছাড়া এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে আমার ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানে। আমি ওয়াকফ করে দিয়েছি তিন বিঘা জমি।ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে আমার উত্তরসূরিরা ২০% সম্মানী ভাতা পাবেন। আস্তে আস্তে সমস্ত সম্পদই ওয়াকফ করা হবে। আমার দুই ছেলের একজন আবিদ বাংলাদেশের দিকটা দেখবে অন্য ছেলে আহমেদ কুয়েতের দিক দেখছে। ট্রাস্টি নিয়মে চলবে বলে সন্তানেরা শুধু সম্মানী ভাতা নিতে পারবে দেখভালের বিনিময়ে।আমার আত্মীয় স্বজন অনেককেই কুয়েতে বিনা খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।তাদের অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছে।
Discussion about this post