নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় রাতের অন্ধকারে বারিষাব এলাকার চরদুর্লভ খাঁন আব্দুল হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম বিএসসি’র উপর নৃশৃংসভাবে বর্বরোচিত এ দুর্বৃত্তদের হামলায় শিক্ষকের হাত ও পায়ের র’গ কেটে ফেলায়, দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গুরুতর আহত শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম (৫০) কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। তিনি উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খাঁন আব্দুল হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের জৈষ্ঠ্য শিক্ষক ও একাধারে তিনি গণিতের বিএসসি।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে চরদুর্লভ খাঁন আব্দুল হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও কাপাসিয়া উপজেলা সদরে বিকেল ৫টায় শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবন্ধনের আয়োজন করেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ, কাপাসিয়া উপজেলা শাখা ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার নের্তৃবৃন্ধ। এদিকে মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নুরুল ইসলামের উপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর স্মারকলীপি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টায় দিকে বারিষাব বেলতলী বাজার থেকে নিজের হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসী বন্ধ করে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ভিকারটেক এলাকার নুরারপুল পাড়ের পূর্ব পাশে ডুবারটেক নামক জায়গায় শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম এ হামলার শিকার হন। আহত স্কুল শিক্ষক মো: নুরুল ইসলামের স্ত্রী রৌজিয়া সুলতানা এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবীর জানান, আহত শিক্ষক নুরুল ইসলামের স্ত্রী রৌজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকের ওপর হামলার এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বিল্লাল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রহমান জানান, নুরুল ইসলামের হাত ও পায়ে অনেক ইনজুরি রয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দরকার। নুরুল ইসলামকে অন রিকোয়েস্ট এখানে ভর্তি রাখা হয়েছিল এখানে।
তিনি আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জের মাধ্যমে জানতে পারি নুরুল ইসলামের ইনজুরি খুবই সিরিয়াস। ওনার চিকিৎসা পঙ্গু হাসপাতালেই দরকার। তবে কেন তার পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকায় নিয়ে গেলেন তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষকের ছোট ভাই আহসান উল্লাহ সরকার জানান, হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার পরই অমার বড় ভাইকে আজ সন্ধ্যায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post