নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠিতে সড়ক দু’র্ঘটনায় নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০ টায় বরিশাল ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে এই ঘটনাটি ঘটে। সদর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় স্বজন হারানোর শোকে অনেককে বিলাপ করতে দেখা গেছে। গোটা হাসপাতালে শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত সেখান থেকে ১৭ জনের মর’দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫-৩০ জন। উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটসহ পুলিশ প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ (শনিবার) সকালে ভান্ডারিয়া থেকে বাশার স্মৃতি পরিবহণ নামক একটি যাত্রীবাহী বাস ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছিল। পথে ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি পুকুরে পড়ে উল্টে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে যোগ দেন।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী বলেন, দুর্ঘট’নার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।এদিকে দুর্ঘট’নার পর থেকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে মাঝপথে যাত্রী তোলার কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগে। এ জন্য বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালনা করা হচ্ছিল।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার জানান, যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে গেলে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মর’দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক দেখা গেছে। গাড়ির ভেতরে কতজন আটকে আছে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। গাড়িটি উদ্ধার সম্ভব হলে তখন বিস্তারিত বলা যাবে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান আছে।
Discussion about this post