নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে গিয়েছিল এক কিশোরী। সেই দাবি না মানায় বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেছে সে।
মঙ্গলবার ২৭ জুন সন্ধ্যায় ভৈরব পৌর শহরের কালীপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ফাঁস নেওয়া নদী আক্তার (১৪) কালীপুর এলাকার ইয়াছিন মিয়ার মেয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদী দীর্ঘদিন ধরে তার নানা এলাছ মিয়ার বাড়িতেই বসবাস করছে। সেখানে একই এলাকার হারুন মিয়ার মেয়ের জামাই কালু মিয়ার সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কালু মিয়ার বাড়ি শহরের রামশংকরপুর এলাকায়। তিনি বিয়ের পর থেকেই কালীপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তাদের পরকীয়ার কথা জানতে পারে নদীর পরিবার। কালু মিয়া বিবাহিত হওয়ায় নদীর পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে নদী বিয়ের দাবিতে কালু মিয়ার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠে। তখন কালু মিয়ার স্ত্রী ও স্বজনরা নদীকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। বিষয়টি নদী মেনে নিতে না পেরে নিজের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ধারণা করা যাচ্ছে, প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রত্যাখ্যান হয়ে বাড়িতে ফিরে আত্মহত্যা করেছে সে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post