নিজস্ব প্রতিবেদক: যে আইনে পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত সে আইনের বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গাজীপুরে স্থাপিত হচ্ছে ডা. আমিরুল ইসলাম পরিচালিত এ কে এস হাসপাতাল। বক্তব্যে সব নিয়ম মেনেই উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানালেও বাস্তবে শুরুটাই অনিয়মের!
আইনের বিধানে অবস্থানগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনা প্রস্তুতের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না, পাবেনা বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংযোগ। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় হাসপাতাল কমলা শ্রেণীর শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত থাকা সত্বেও গাজীপুর জেলার সদর থানাধীন শীববাড়িস্থ এ কে এস হাসপাতাল অবস্থানগত ছাড়পত্র ছাড়াই পূর্ব প্রতিষ্ঠিত হলি ল্যাব নামক হাসপাতাল লাগোয়া একটি ভাড়াকৃত ভবনে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড বহির্ভূত পদ্ধতিতে ডেকোরেশন প্রস্তুত সম্পন্ন করেছেন; পেয়েছেন বিদ্যুৎ সংযোগও। চাউর রয়েছে আগামী ১৫ জুনের মধ্যেই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন এ কে এস কর্তৃপক্ষ।
একেএস হাসপাতালের আজাদ নামের এক কর্তা জানান, ‘আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, দুই-চার দিনের মধ্যেই আমরা পরিবেশগত ছাড়পত্র পেয়ে যাবো আর ১৫ জুনের মধ্যেই আমরা চেষ্টা করব উদ্বোধন করতে।
একেএস হাসপাতালের অন্যতম উদ্যোক্তা টঙ্গীস্থ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. আমিরুল ইসলাম জানান, ‘অনিয়ম নয় সকল প্রকার লাইসেন্স হাতে নিয়েই আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবো।’ একেএস হাসপাতালের জন্য ভাড়াকৃত ভবনটির রাজউক বা গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবহারের অনুমতি বা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মো: মমিন ভূঁইয়া জানান, ‘একেএস হাসপাতালের ফাইলটি অবস্থানগত ছাড়পত্রের জন্য ঢাকায় পেন্ডিং রয়েছে এখনো ছাড়পত্র পায়নি। যেহেতু ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই তারা স্থাপনার কাজ করছেন সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সদস্য সেবা বিষয়ক এজিএম মোঃ রিয়াদ কাইয়ুম জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একেএস হাসপাতালের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে তবে পরিবেশ অধিদপ্তর যদি আমাদের অফিসিয়ালি অবগত করে তাহলে আমরা অধিকতর দ্রুত ব্যবস্থা নিব।’
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক মো: নয়ন মিয়া জানান, ‘কোনো হাসপাতাল বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের অবস্থানগত ছাড়পত্র ছাড়া স্থাপনার কার্যক্রম শুরু করার সুযোগ নেই এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া সেবা কার্যক্রম বা প্রডাকশন শুরু করার সুযোগ নেই। বেআইনি ভাবে স্থাপনা তৈরি করার কারণে একেএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Discussion about this post